স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে ইচ্ছুকদের লালারস সংগ্রহ। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
বমি-পেটব্যথা নিয়ে মাড়গ্রামের এঁটালোপাড়ায় চার জনের মৃত্যুর কারণ ঠিক কী, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। বুধবার অবশ্য এলাকায় নতুন করে আর কোনও আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (রামপুরহাট ২) অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘শিশু মৃত্যুর কারণ খুঁজতে আক্রান্তদের রক্তের নমুনা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছায় নি। মৃতদের একজনের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার প্রাথমিক রিপোর্টও এখনও এসে পৌঁছয়নি।’’
গত পনেরো দিনে মাড়গ্রামের এঁটালোপাড়া এলাকায় একই উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন ৪-৫ বছরের শিশু। বাকি দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৬ বছর এবং অন্য জনের ১৩ বছর। মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩ জন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার এলাকার এক মহিলার করোনা ধরা পড়ে। তার পরে এলাকায় আতঙ্ক আরও বাড়ে। এ দিন এলাকায় ৬৭ জনের করোনা সন্দেহে লালারস সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞরা রামপুরহাটে এসে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
ওই এলাকা থেকে বাসি খাবার, দোকানের খাবার পরীক্ষা করার জন্য রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ফুড সেফটি আধিকারিক খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সেই রিপোর্টও এখনও স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসে পৌঁছয়নি। এর ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া বা জীবাণু সংক্রমণ হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। এর ফলে শিশু মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি বলে স্বাস্থ্য দফতর দাবি করেছে।
মঙ্গলবার থেকেই এলাকায় পুলিশ প্রশাসন বাইরের দোকানের কোনও খাবার যাতে না কেউ না খায় সে জন্য এলাকায় মাইকিং করছে। বিডিও (রামপুরহাট ২) রাজীব পোদ্দার বলেন, ‘‘এলাকায় ৩-১৫ বছর বয়সিদের সহজপাচ্য খাবার বিলি করা হচ্ছে। এলাকার নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কার করা হয়েছে। নলকূপগুলি দু’বেলা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। প্যাকেটে খাবার জল বিলি করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy