Advertisement
০৯ অক্টোবর ২০২৪
Flood Like Situation

বান আসছে, খবর পেয়ে খাবার-ওষুধ কিনতে ভিড়

চাল, ডাল, শুকনো খাবারের সঙ্গে কিছু ওষুধও গুছিয়ে রেখেছিলেন ওই গ্রামেরই হাসান রায়। তাঁর কথায়, “আমরা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে অভ্যস্ত।

দুর্গাপুর ব্যারাজ।

দুর্গাপুর ব্যারাজ। —ফাইল চিত্র।

তারাশঙ্কর গুপ্ত
পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৪
Share: Save:

হু হু করে জল ঢোকা শুরু হলে কখন কী হয়! দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়ার খবর আসতেই দামোদর তীরবর্তী বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়রের মতো গ্রামগুলির বাসিন্দারা ভিড় জমালেন দোকানে দোকানে। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য শুকনো খাবার থেকে ওষুধ মজুত করেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ভিড় উপচে পড়ে সোনামুখীর নিত্যানন্দপুর বাজার, পাত্রসায়রের বেলুট বাজার, বড়জোড়া মানাচরের দোকানগুলিতে।

পাত্রসায়রের শালখাঁড়া চরের প্রসেনজিৎ শিকদার বলেন, “মঙ্গলবার বিকেল থেকে জল বাড়ছিল গ্রামের খালে। দামোদর থেকে ওই খালে জল ঢুকে আমাদের গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। তাই চিঁড়ে, গুড়, কিছু শুকনো খাবার মজুত করে নিই আগেভাগে। তবে এ দিন সকাল থেকে জল বাড়েনি।”

চাল, ডাল, শুকনো খাবারের সঙ্গে কিছু ওষুধও গুছিয়ে রেখেছিলেন ওই গ্রামেরই হাসান রায়। তাঁর কথায়, “আমরা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে অভ্যস্ত। তাই জানি এ সময় কিছু জরুরি ওষুধেরও প্রয়োজন হয়।”

সোনামুখীর নিত্যানন্দপুর বাজারে মঙ্গলবার যথেষ্ট ভিড় ছিল। নিত্যানন্দপুরের প্রকাশ সরকার জানান, ওই দিন বিকেল থেকে অনেকেই শুকনো খাবার, মুদির জিনিসের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে নিয়ে যান। তাঁদের অধিকাংশই পাকা বাড়ির বাসিন্দা। জল বাড়লেও তাঁরা ত্রাণ কেন্দ্রগুলিতে যান না। তাই ঘরেই মজুত করে নেন জরুরি জিনিসপত্র। সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামির কথায়, “বাড়ি ছেড়ে এলে চুরির ভয় থাকে। সে কারণেই অনেকে ঘর ছেড়ে আসতে চান না।”

জল ঢুকেছে বড়জোড়ার মানাচরেও। ওই এলাকার মাঝের মানার মৃদুল মিস্ত্রী-সহ অন্যরা বেশি জল ছাড়ার খবর পেতেই মুদির দোকান থেকে খাবার, মোমবাতি, দেশলাই সব মজুত করে নেন। তাঁদের কথায়, “দুর্যোগ খিদে, দুর্দশা কিছু মানে না। তাই আমাদেরই আগে থেকে প্রস্তুত থাকতে হয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Durgapur Barrage Durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE