রোজভ্যালি কাণ্ডে দলের দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালের গ্রেফতার ও নোট বাতিলের ফলে মানুষের হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এর ফলে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, সোনামুখী ও আরামবাগের দিক থেকে আসা বাস-সহ সমস্ত যানবাহন বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার আগেই আটকে যায়। দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই বিক্ষোভে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হাঁটতে দেখা যায়। আটকে পড়ে বিষ্ণুপুরে ঢোকা পর্যটকদের বেশ কয়েকটি বাসও। পর্যটনের মরসুমে পর্যটকদের এ ভাবে বিপাকে ফেলায় অনেকেই অসন্তুষ্ট।
দলীয় কর্মীদের নিয়ে এ দিন বিক্ষোভে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য, তৃণমূলের বিষ্ণুপুর শহর সভাপতি তথা উপপুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়, বিষ্ণুপুর ব্লক সভাপতি মথুর কাপড়ি, বিষ্ণুপুর শহর তৃণমূল যুব সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। মথুর কাপড়ি বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দুই সাংসদকে রোজভ্যালি কাণ্ডে জড়িয়ে দলকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। এই প্রতিবাদ চলবে।’’
এ দিকে, নোট বাতিলের বিরুদ্ধে সরব হওয়াতেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তৃণমূলের দুই সাংসদকে গ্রেফতার করেছে বলে গ্রামাঞ্চলে প্রচারে নামতে চাইছে পুরুলিয়া জেলা নেতৃত্ব। ৮-১১ জানুয়ারি তিন দিন ধরে পুরুলিয়ার সব মহকুমা সদরে বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। শুক্রবার পুরুলিয়া শহরে একটি হোটেলে জেলা কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছিলেন মন্ত্রী তথা পুরুলিয়ায় দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো, জেলা সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়কেরা।
দলের কোর কমিটির সদস্য নবেন্দু মাহালি জানান, ৯ জানুয়ারি ঝালদার বীরসা মোড়ে, ১০ জানুয়ারি পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে ও ১১ জানুয়ারি রঘুনাথপুর ও মানবাজারের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান হবে। ঝালদা ও মানবাজারকে মহকুমা হিসাবে গড়ে তোলার বিষয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, ওই দুই জায়গায় কেন্দ্রীয় ভাবে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নবেন্দুবাবু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। তিনদিন ধরে বিক্ষোভ অবস্থানে বসে আমরা এই বিষয়টি মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাইছি।”