সোমবার, মেলার উদ্বোধনের পরে।— নিজস্ব চিত্র
নোট বদলের হয়রানি ছড়াচ্ছে বাজার হাট থেকে মেলা, খেলাতেও।
সোমবার রামপুহাটে ছিল সবলা মেলা। সেই মেলাতে মিলল নেই-নোটের প্রভাব। রামপুরহাট মহকুমা স্টেডিয়াম মাঠে এ দিন বীরভূম জেলা সবলা মেলার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধক মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধায়। মন্ত্রী তাঁর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ভাষণে মেলাতে বিক্রিবাটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘নোট নিয়ে সমস্যা চলছে। এই অবস্থায় মেলায় বিক্রি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।”
মন্ত্রী বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন কিনতে তো যাব, কিন্তু টাকা কোথায়? কাছে থাকা ১০০ টাকা মেলায় খরচ করতে এসেও তাঁরা ভাববেন। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের কাছে খুচরো টাকার অভাবের প্রভাব মেলাতে পড়বে।” এ দিন মন্ত্রী বলেন, ‘‘নোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলন চালাচ্ছেন। এখানে পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে মহকুমাশাসক, পুরপ্রধানকে বলব পরবর্তীতে রামপুরহাট মহকুমায় একটা এই ধরনের মেলার আয়োজন করতে যাতে করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করার সুযোগ পেতে পারেন।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীও মন্ত্রীর বক্তব্যের সহমত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এলাকার মানুষকে ইচ্ছা ও মানসিকতার সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।’’
মেলার সার্বিক সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। মেলায় জেলার ১৯টি ব্লক থেকে ৩২টি স্বনির্ভর দল তাদের উৎপাদিত সামগ্রী নিয়ে এসেছিল। ৫০০, ১০০০ টাকা নোট বদল নিয়েও গোষ্ঠীর মহিলারাও চিন্তায় আছেন। ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর থেকে আসা মা তারা স্বনির্ভর দলের দলনেত্রী পুতুল গুপ্ত বলেন, ‘‘৫০০, ১০০০ টাকার নোট নেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
আবার খয়রাশোল ব্লক থেকে আসা মা তারা স্বনির্ভর গোষ্ঠী, রাঙামাটির স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলনেত্রী যথাক্রমে উষা ভাণ্ডারী, রাখী পালরা জানালেন, তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রীর দাম ২৫০ টাকা শুরু করে ৫০০ টাকা। সেক্ষেত্রে কেউ যদি পুরনো ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা র নোট দেয় তাহলে নিয়ে নেবেন। এবং সেই টাকা প্রশাসনের আধিকারিকদের মাধ্যমে ব্যঙ্কে জমা দেবেন। আবার খুচরো সমস্যা নিয়েও দ্বিধায় মেলায় আসা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। বলছেন, ‘‘সবলা মেলার জন্য আমরা সারা বছর ধরে সামগ্রী তৈরী করি। বছরে একবার এই ধরণের মেলায় নিজেদের হাতে তৈরী সামগ্রী বিক্রি করার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। নোট নিয়ে সমস্যার আগেই নিজেদের সামগ্রী তৈরী করেছিলাম। এখন বিক্রি না হলে সমস্যায় পড়ব।”
কেউ কেউ অবশ্য আগে থেকে তৈরি। তাঁরা জানালেন, মেলায় আসার জন্য এটিএম থেকে টাকা তুলেছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy