শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এক ধাপ এগোল মানবাজার গার্লস হাইস্কুল।
বয়ঃসন্ধিকালীন ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এ দিন স্কুলে একটি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। এতে পাঁচ টাকার একটি কয়েন ফেললেই স্যানিটারি ন্যাপকিন বেরিয়ে আসবে।
বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘আপাতত একটি এজেন্সি ন্যাপকিন সরবরাহ করছে। আগামী দিনে স্বনির্ভর দলের সদস্যাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানেই ন্যাপকিন প্রস্তুত করানো হবে।’’ ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মানবাজার ১ ব্লকে ছাত্রীদের স্কুলে এই প্রথম এ ধরনের প্রকল্প চালু হল।
এই মেশিন চালু হওয়ায় ছাত্রীরাও খুশি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে মেয়েদের যে ধরনের সাবধানতায় থাকা দরকার, এখনও কিছু গ্রামীণ এলাকায় সেই সব সতর্কতা মানা হয় না। তাই স্কুল থেকেই ছাত্রীদের তুলনামূলক কম দামে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া গেলে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। এতে আখেরে মেয়েগুলি ভাল থাকবে।
ছাত্রীরা যাতে আত্মরক্ষা করতে পারে, সে জন্য এ দিন থেকে স্কুলে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও চালু হয়েছে। ক্যারাটে পারদর্শী অন্য একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির স্বস্তিকা পাল আপাতত প্রশিক্ষণ দেবে বলে ঠিক হয়েছে। ক্যারাটে প্রশিক্ষণরত ছাত্রীদের ব্লক অফিস থেকে পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই পোশাক পরেই ক্যারাটের পাঠ শুরু হল এ দিন।
ছাত্রীদের মধ্যে অয়ন্তিকা মহান্তী, শীলা মাহাতো, রূপালি মোদক বলে, ‘‘এখন আর মেয়েদের শুধু ঘরেই কাটাতে হয় না। বাইরেও নানা কাজে ঘুরতে হয়। তাই তেমন পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষা করার কৌশল জানাটাও জরুরি। স্কুলের এই উদ্যোগ আমাদের কাজে লাগবে।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রথম দিন ২০ জন ছাত্রীকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। স্কুলের মাঠেই চলছে প্রশিক্ষণ।
এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, নারী ও শিশু কল্যাণ সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নিয়তি মাহাতো, মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল শ্রীমাণি, মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মাহাতো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy