পৌষমেলা উপলক্ষে প্রথম দিক থেকেই জমজমাট শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠ। বড়দিনের ছুটি থাকায় সেই ভিড় ছড়িয়ে পড়ল সোনাঝুরি, খোয়াইয়ের হাটেও। বোলপুরবাসীর একাংশের দাবি, পৌষমেলার জন্য এমন ভিড় অনেক দিন পরে দেখা গেল। পাশাপাশি, ব্যবসা ভাল হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ী ও টোটো-অটো চালকেরাও।
২০১৯ সালে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের আয়োজনে শেষ বার পৌষমেলা হয়েছিল পূর্বপল্লির মেলার মাঠে। পাঁচ বছর পরে আবার পুরনো জায়গায় বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের আয়োজনে মেলা হচ্ছে। শান্তিনিকেতনের একাংশকে এর মধ্যেই ইউনেস্কো ‘বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের’ স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে, এ বার উৎসবের আলাদা গুরুত্ব আছে বলে দাবি আয়োজকদের।
প্রথম দিন থেকেই মেলায় ভিড় ছিল। বুধবার বড়দিন উপলক্ষে কার্যত দ্বিগুণ ভিড় হয়েছিল বলে দাবি আয়োজকদের। সকাল থেকেই মেলা চত্বর ও আশাপাশের এলাকা হাঁটাচলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন রাস্তায় ‘নো এন্ট্রি’ থাকায় সবাই হেঁটেই মেলা চত্বরে যান।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে। কিছুটা হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকেও। এই ভিড়ে ব্যবসায়ীদের হাসি আরও চওড়া হয়েছে। কাটোয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী রাহুল দাস, আসানসোল থেকে আসা ব্যবসায়ী সমীরণ পাল, বিহার থেকে আসা যোগেন্দ্র শর্মা, বোলপুরের খাবারের দোকান ব্যবসায়ী মৌমিতা সাঁই দত্তেরা জানান, প্রচুর ভিড় হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেচাকেনাও ভাল হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)