কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ। —নিজস্ব চিত্র।
মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) না বাড়ার দায় কেন্দ্রের উপরেই চাপালেন রাজ্যের নারী কল্যাণ ও শিশু সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। শুক্রবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সাঁইথিয়ার বিক্ষোভ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী। একই মঞ্চ থেকে ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই বলে হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। শশী, কাজল ছাড়াও এ দিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক নিলাবতী সাহা, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত, শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস সাহা প্রমুখ।
এ দিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে তৃণমূল। স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে ইউনিয়ন বোর্ড মোড়ে এসে পদযাত্রা শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশে আয়োজন করা হয়। সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিএ, ডিএ করে চেঁচাচ্ছেন। কালই দিদি চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছেন। দিদি আরও ডিএ বাড়িয়ে দেবেন বলেছেন। কিন্তু তার আগে কেন্দ্র বকেয়া টাকা ফেরত দিক। তা হলেই দিদি পুরো ডিএ মিটিয়ে দেবেন।’’
মন্ত্রীর দাবি, ‘‘দিদি বলেছিলেন বদল চাই, বদলা নয়। আর বিজেপি বলেছে বদল না হলে বদলা নেব। তাই ২০২১ সালে জিততে না পেরে ১০০ দিনের কাজের টাকা ও বাড়ি তৈরির টাকা বন্ধ করে বদলা নিচ্ছে।’’ শশীর বক্তব্য উঠে আসে সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘সাংসদেরা যাতে মানুষের সমস্যার কথা তুলে প্রতিবাদ করতে না পারেন, সে জন্যই পার্লামেন্ট থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। পার্লামেন্ট বিরোধী শূন্য করে একের পর এক বিল পাশ করাচ্ছে।’’
সিপিএমের ইনসাফ যাত্রাকে কটাক্ষ করে শশী বলেন, ‘‘২০১১ সালের আগে যতগুলি রাজনৈতিক সন্ত্রাস হয়েছে, যতগুলি খুন করিয়েছে, তার জন্য কোনও অনুতাপ রয়েছে তাঁদের? কোনও মানুষকে বলেছেন যে ক্ষমা করে দিন। আগে এই ইনসাফ করুন। তার পরে ইনসাফ যাত্রা করবেন।’’ এ দিন শশী দাবি করেন, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল আপস করবে না। যে চুরি করবে সে নিজের দায়িত্বে করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে সমর্থন করেন না।’’ শশীর বক্তব্যে উঠে আসে রাম মন্দিরপ্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘রাম মন্দির হোক এটা আমরাও চাই।কিন্তু এটা নিয়ে রাজনীতি হোক, সেটা চাই না।’’
অন্য দিকে, মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আক্রমণ করেন কাজল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ইডি, সিবিআই দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা ওই ভয় পাই না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রাজনীতি করি। আমার নামে সিপিএমের নেতারা থানায় ৬২টি মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। এমনকি তিন বার জেলেও ঢুকিয়েছিল। আমাকে আটকাতে পারেনি। তাই ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কর্মীদের আটকানো যায় না।’’ বিকল্প পৌষমেলায় স্টল বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে কাজল বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট এ ভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল। তাই আজ জ়িরো হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy