মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁকুড়া সফর নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে বাঁকুড়ায় বিজেপির যুব মোর্চার নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা দেখাবেন বলে রবিবার পুরুলিয়ায় দাবি করেছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকটা জায়গায় কালো পতাকা দেখানো হবে এবং প্রতিটি মোড়ে মোড়ে কালো পতাকা বাঁধব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের স্বৈরাচারী সরকার নিপাত যাক বলে প্রত্যেক জায়গায় স্লোগান হবে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে, জঙ্গলমহলের সমস্ত গাছ কী ভাবে বিক্রি করা যায় তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে।’’
এ দিনই বাঁকুড়া শহরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে মিছিল করে বিজেপি। ছিলেন বিজেপির বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র প্রমুখ। সুভাষবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলের মানুষের রক্ত ঝরিয়ে এখন ভোটের রাজনীতি করতে এসেছেন মমতা। পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। তাই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
যদিও তা গুরুত্ব দিতে নারাজ বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন। মানুষ তাঁদের ছুঁড়ে ফেলেছেন। আর সৌমিত্রের বক্তব্যকে আমরা পাগলের প্রলাপ হিসেবে ধরি। তাঁর কথার গুরুত্ব নেই। ওদের লোকই নেই, কালো পতাকা কে দেখাবে?’’ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। সমস্ত জায়গায় পুলিশ থাকবে।’
সৌমিত্রের আরও দাবি, পুরুলিয়ার তিন জন বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন। তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘বিজেপির একের পর এক পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলে চলে আসায় ওদের দলীয় কর্মীদের মনোবল তলানিতে। তাই ঠেকায় পড়ে এখন মিথ্যা কথা বলে কর্মীদের ভরসা জোগানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy