পড়ুয়ারা বেঞ্চের অভাবে সিমেন্টের মেঝেতে বসে ক্লাস করত। শীতকালে ঠাণ্ডা মাটিতে দীর্ঘ ক্ষণ বসে বসে ক্লাস করতে অসুবিধা হত তাদের। খোদ রামপুরহাট শহরে ৪২ বছর ধরে এই রকম ভাবেই ক্লাস চলছিল রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ ক্ষুদিরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাংসদ শতাব্দী রায়ের উদ্যোগে ওই স্কুলের পড়ুয়ারা বেঞ্চ পেতে চলেছে। সাংসদ তহবিলের ২ লক্ষ টাকায় স্কুলে কেনা হয়েছে বেঞ্চ। সেই খুশিতে এলাকার বাসিন্দারা রবিবার ছুটির দিন সাংসদ শতাব্দী রায়কে সংবর্ধনা দিলেন। সংবর্ধিত হলেন মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, ‘‘সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভা সব সময়ই এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে পাশে আছেন। আগামী দিনেও থাকবেন।’’
রামপুরহাট পশ্চিম চক্রের অধীন শহিদ ক্ষুদিরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস দত্ত বলেন, ‘‘১৯৭৫ সালের স্কুল। বর্তমানে স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৬০। এলাকার অনেক স্কুলের মতো এই স্কুলে পড়ুয়াদের বসার জন্য বেঞ্চের ব্যবস্থা দীর্ঘ দিন ধরে ছিল না। পড়ুয়ারা সিমেন্টের মেঝের উপর বসে ক্লাস করত।’’ তিনি জানান, এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষ জন স্কুলের সার্বিক শিক্ষার উন্নতির স্বার্থে স্কুল শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে স্কুলের পড়ুয়াদের সমস্যার কথা সাংসদ শতাব্দী রায়কে জানান। সেই সঙ্গে স্কুলের এক পাশের জীর্ণ প্রাচীর সংস্কারের জন্যও সাংসদকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি স্কুলের পড়ুয়াদের কথা ভেবে এলাকা উন্নয়ন খাত থেকে দু’লক্ষ টাকা আমাদের স্কুলের জন্য প্রদান করেছেন।
মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সব সময় চাই স্কুলের পরিবেশের মধ্যে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করুক। সেই জন্য কখনও সাংসদ এলাকা উন্নয়ন খাতে, কখনও বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন খাতে কখনও বা তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ কখনও বা পুরসভার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এখানেও তেমন হয়েছে।’’
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারমিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংসদ পড়ুয়াদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের কথা ভেবে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার জন্য আমরা গর্বিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy