ট্যুরিস্ট লজের অন্দরসজ্জা সারা হয়ে গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র
একশো শতাংশ ঘরের ‘বুকিং’ হয়ে গিয়েছে। ধর বুক করেছেন কয়েকজন বিদেশি পর্যটকও। আজ, মঙ্গলবার খুলে যাচ্ছে নতুন সাজে সজ্জিত রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের অতিথিশালা ‘বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজ’।
বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়িতে মেরেকেটে ২০ মিনিটের পথ। রেল স্টেশন থেকে ৪০ মিনিটের দুরত্বে বিষ্ণুপুর টুরিস্ট লজ। যা তৈরি হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। প্রয়োজন ছিল অতিথিশালার সংস্কার। গত বছর তাতে হাত দিয়েছিল নিগম। তাই এত দিন বন্ধ ছিল অতিথিশালা। সংস্কারের কাজ শেষ। পর্যটক টানতে পুরদস্তুর তৈরি তিন তলা অতিথিশালা। যার দরজা খুলে যাবে মঙ্গলবার।
সোমবার টুরিস্ট লজের ম্যানেজার দীনেশ হালদার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই লজের ১০০ শতাংশ বুকিং শেষ। অনেক ঘর বুক করেছেন বিদেশি পর্যটকেরা।’’
অতিথিশালার মূল ফটকে রয়েছে তোরণ। রয়েছে পাঁচমুড়ার কাঞ্চন কুম্ভকারের টেরাকোটার মুরাল। অতিথিশালার ভেতরে টেরাকোটার মন্দিরের একচালা আচ্ছাদন রয়েছে। বিভিন্ন অংশে রয়েছে টেরাকোটার প্লেট।
দীনেশবাবু জানান, পর্যটন নিগমের ওয়েবপেজে গিয়ে অতিথিশালার ঘর বুক করা যাবে। সেখানে রয়েছে ২৭ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘ডবল বেড’ ঘর। প্রথম তলায় ১৬ টি, দ্বিতীয় তলায় ৭ টি এবং তৃতীয় তলায় ৪ টি ঘর রয়েছে। পর্যটকেরা গাড়ি নিয়ে এলে চালকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
অতিথিশালা কর্তৃপক্ষের জাবি, নজরদারি ক্যামরায় মোড়া থাকছে গোটা চত্বর। রয়েছেন নিরপত্তারক্ষীরা। দীনেশবাবু জানান, আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে অতিথিশালার পানশালা এবং রেস্তোঁরায়। দেশ-বিদেশের নানা খাবার পাওয়া যাবে সেখানে। স্থানীয় খাবার চাইলে তা-ও মিলবে। পর্যটকদের যাবতীয় পরিষেবা দেওয়ার জন্য রয়েছেন ১১ জন স্থায়ীকর্মী। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে আরও ৭ জনকে।
অতিথিশালায় রয়েছে ফুলের বাগান, বাচ্চাদের খেলার সরঞ্জাম এবং একটি গ্রন্থাগার। বিষ্ণুপুরের হস্তশিল্প এবং বালুচরী শাড়ি কিনতে ইচ্ছুক পর্যটকদের সাহায্য করবেন অতিথিশালার কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় শিল্পীদের অতিথিশালায় আসতে বলা হবে।
একটি সুইমিং পুল এবং মাল্টিজিম তৈরি হচ্ছে ওই অতিথিশালায়। মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডল জানান, ‘‘এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে পর্যটকেরা কয়েক দিন বিষ্ণুপুরে থাকতে পারেন। তবেই পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy