Advertisement
E-Paper

আলাদা প্রতিষ্ঠা দিবস পালনেও

মঙ্গলবার জয়পুরের তেঁতুলতলায় পালিত হয় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের একটি অনুষ্ঠান। সেখানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কীর্তন মাহাতো। জয়পুর রাজবাড়ি এলাকায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আরেকটি অনুষ্ঠান হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪১
(উপরে) কীর্তন মাহাতোর অনুগামীদের মিছিল। (নীচে) জয়পুর রাজবাড়ির সামনে বিধায়কের অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র

(উপরে) কীর্তন মাহাতোর অনুগামীদের মিছিল। (নীচে) জয়পুর রাজবাড়ির সামনে বিধায়কের অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র

জয়পুর ব্লকে দু’টি পৃথক অনুষ্ঠান করে মঙ্গলবার পালিত হয়েছে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। এবার ওই দু’টি অনুষ্ঠানের কোনটি আসল, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন দলীয় সমীকরণে একে অপরের ‘বিরোধী’ বলে পরিচিত জয়পুরের গুরুত্বপূর্ণ দুই তৃণমূল নেতা।

মঙ্গলবার জয়পুরের তেঁতুলতলায় পালিত হয় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের একটি অনুষ্ঠান। সেখানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কীর্তন মাহাতো। জয়পুর রাজবাড়ি এলাকায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আরেকটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো এবং তাঁর অনুগামীরা। জয়পুর ব্লকে দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের ঘটনা এই প্রথম।

বুধবার কীর্তন বলেন, ‘‘কার প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বেশি লোক এসেছিলেন, তা সকলেই দেখেছেন। প্রত্যেক বছর যেথানে প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল অনুষ্ঠান হয়, এবারেও সেখানেই হয়েছে। সেখানে দলের অনেক কর্মী এসেছিলেন। তবে বিধায়ক কেন আসেননি তা জানি না।’’ কীর্তনের অনুগামী বলে পরিচিত যুব নেতা সমীরণ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘আমাদের অনুষ্ঠানেই ব্লকের সমস্ত অঞ্চলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।’’

শক্তিপদবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘জয়পুর রাজবাড়িতেই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল অনুষ্ঠান হয়েছে।’’ দু’টি অনুষ্ঠান কি এড়ানো যেত না? তাঁর উত্তর, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠান হলে ভাল হতো। দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতো না।’’

কীর্তনের সঙ্গে শক্তিপদর বিরোধ সকল তৃণমূলকর্মীর কাছেই সুবিদিত। গত বিধানসভা ভোটে শক্তিপদকে টিকিট দেওয়া হলে কীর্তনের অনুগামীরা পুরুলিয়া শহরে মিছিল করেছিলেন। শক্তিপদবাবুকে মেনে নেওয়া হবে না বলে তাঁরা মিছিলে স্লোগানও তোলেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো জেলা কার্যালয়ে দুই নেতাকে নিয়ে রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেছিলেন। তারপর শক্তিপদর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন কীর্তন। এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘ওই দুই নেতার বিরোধ নতুন কিছু না হলেও প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এতদিন তার ছাপ পড়েনি। এ বার যা হল তা ভাল নয়।’’ শান্তিরামের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুনেছি দু’টি অনুষ্ঠান হয়েছে। দলে অনেক নতুন ছেলে এসেছে। ওরাই এসব করেছে বলে শুনেছি।’’

TMC foundation Day TMC infightings
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy