E-Paper

স্কুলপড়ুয়া ভর্তি টোটোর ধাক্কা ডাম্পারে, আহত ৯ 

চার পড়ুয়াকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এক পড়ুয়ার মাথায় আঘাত লাগায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:২০
দুমড়ে গিয়েছে টোটো।

দুমড়ে গিয়েছে টোটো। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুলপড়ুয়া ভর্তি টোটোর সঙ্গে ডাম্পারের ধাক্কায় আহত হল দুই পড়ুয়া-সহ ন’জন। বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ির কড়িধ্যার ব্রজেরগ্রাম মোড়ের কাছে ওই দুর্ঘটনায় টোটোর চালক এবং এক অভিভাবকও আহত হন। টোটো চালক অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চালানোর জন্যই এই ঘটনা বলে প্রত্যশদর্শীদের অনেকের দাবি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কড়িধ্যার সৎসঙ্গ কলোনি থেকে সিউড়ির পাইকপাড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে যাচ্ছিল ওই পড়ুয়ারা। টোটোতে চালক ছাড়াও ৬ জন স্কুল পড়ুয়া ও দুই অভিভাবক ছিলেন। ব্রজেরগ্রাম মোড়ের কাছে ওই দুর্ঘটনার পরে পড়ুয়ারা ছিটকে পড়ে। সকলেই কমবেশি আহত হয়েছে।

চার পড়ুয়াকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এক পড়ুয়ার মাথায় আঘাত লাগায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। অপর এক পড়ুয়ার মাথা ফাটায় তার মাথায় সেলাই পড়েছে। সেলাই পড়েছে এক অভিভাবকের মাথাতেও। ডাম্পার ও ডাম্পারের খালাসিকে আটক করা হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, টোটোয় অতিরিক্ত যাত্রী চাপানোর দোষেই ঘটেছে দুর্ঘটনা।

লক্ষ্মণ দাস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “টোটো চালক অত্যন্ত জোরে চালাচ্ছিলেন। অপর একটি টোটোকে জায়গা দিতে গিয়ে রাস্তার ভুল দিকে সরে যায় ওই টোটো৷ তখনই উল্টো দিক থেকে আসা একটি ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়।” পার্থ ধীবর নামে অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “টোটো চালক রাস্তার ভুল দিকে চলে আসার কারণেই ডাম্পারের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে৷ এই রাস্তা ধরে নিয়মিত সকাল ১০টা থেকে ১১গটা পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বড় ও ছোট গাড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু, আমাদের এই রাস্তার বাঁকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও পুলিশকর্মী থাকে না।”

টোটোর চালক ধনঞ্জয় দাস বলেন, “ডাম্পারের গায়ে আমার টোটোর ধাক্কা লাগে এবং কোনও ভাবে টোটোটি ডাম্পারের কোনও আঁকশির সঙ্গে লেগে যায়৷ এরপর ডাম্পারটি এগোনোর চেষ্টা করতেই টোটো উল্টে যায়। টোটোর সবারই কম বেশি আঘাত লেগেছে।” আহত দোলনচাঁপা বিশ্বাস বলেন, “কিসের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে, কিভাবে হয়েছে সেটা আমি কিছু বুঝতেই পারিনি। আমার মাথা ফেটেছে, সেলাইও করতে হয়েছে।” আহত দুই স্কুলপড়ুয়া ঋষিত বিশ্বাস এবং আয়ুষ কর্মকারেরও দাবি, কিভাবে ধাক্কা লাগল, সেই বিষয়ে তাদের ধারণাই নেই।

পড়ুয়ারা যে স্কুলের ছাত্র, সেই স্কুলের দুই শিক্ষক হাসপাতালে আসেন। ঘটনায় পড়ুয়ারা আতঙ্কিত বলে জানান শিক্ষকেরা। কুন্তল মুখোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষক বলেন, “দু’জনের আঘাত গুরুতর হলেও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy