নিশানায়: বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে নিরাপত্তা আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র
হস্টেলে হামলা চালিয়ে মারধরের প্রতিবাদে তাঁরা মিছিল বের করেছিলেন। মিছিল শেষে হয় পথসভাও। আর তারই শেষে ফের বিশ্বভারতীর বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে।
শনিবার শান্তিনিকেতনের ওই ঘটনায় তিন ছাত্র জখম হয়ে পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সন্ধেয় ঘটনার পরে বাম ছাত্র-সংগঠনগুলির বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিনিকেতন থানার ওসি পূর্ণেন্দুবিকাশ দাস। নিরাপত্তার দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় সংগঠনগুলি।
শুক্রবার বিশ্বভারতীতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এআইএসএ, ইউএসডিএফ এবং পিডিএসএফের নেতা, কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠে টিএমসিপি-র নেতা রাজীব ঝাঁ, বিশ্বভারতীর শিক্ষক গৌতম সাহা এবং তাঁদের লোকজনদের বিরুদ্ধে। থানায় লিখিত অভিযোগ হয়। ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ জানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। আক্রান্তদের পাশাপাশি অভিযুক্তেরাও লিখিত ভাবে ঘটনার কথা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে জানান।
ধিক্কার: পড়ুয়াদের মারধরের প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের মিছিল। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
শনিবার বিকেলে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শান্তিনিকেতনে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল ছিল। ভাষাভবনের সামনে থেকে আক্রান্তদের অনেককে সঙ্গে নিয়ে শতাধিক পড়ুয়ারা মিছিলে যোগ দেয়। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে মিছিলে যোগ দেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েরও কিছু পড়ুয়া। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সন্ধ্যায় রতনপল্লিতে একটি প্রতিবাদ সভা করেন আক্রান্ত সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা, কর্মী এবং বহিরাগতদের হাতে ফের আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। ঘটনায় শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মেলার মাঠে ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন তিন জন। পিডিএসএফের নাজমুল হক ও জয়দীপ ঘোষ ছাড়া ফের আক্রান্ত হন এআইএসএ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য তথা বিশ্বভারতীর ইউনিট সম্পাদক ফারহান হোসেন খান।
শুক্রবারের ছাত্রাবাসে হামলার আক্রান্তদের অন্যতম ফারহানের দাবি, এআইএসএ রাজ্য কমিটি সদস্য অভ্রনীল সাহা, পিডিএসএফের জয়নাল হোসেন ছাড়াও প্রগতিশীল, সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন মাসুদ রায়হান আক্রান্ত হয়েছেন। এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অভ্রনীল। তাঁদের দাবি, ঘটনার পর থেকে সমানে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকী তমোঘ্ন সেন নামে এক কর্মীকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে, বাড়িতে একরকমের নজরবন্দি করে রেখেছে অভিযুক্ত টিএমসিপি।
রাতে রাজীব-সহ দু’জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ দিনও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে টিএমসিপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy