Advertisement
E-Paper

সৌর হিমঘরের মডেল বানিয়ে সেরা আমোদপুর

আগেও বেশ কয়েক বার বিজ্ঞানের মডেল গড়ে জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সাঁইথিয়ার আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:৩০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আগেও বেশ কয়েক বার বিজ্ঞানের মডেল গড়ে জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সাঁইথিয়ার আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এ বারে উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক— দুটি স্তরের প্রতিযোগিতাতেই সেরার শিরোপা জিতে নিয়েছে ওই স্কুলের চার পড়ুয়ার তৈরি করা দুটি মডেল।

স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের উদ্যোগে জেলা ছাত্র-যুব বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে ১৩ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর সিউড়ির বেণীমাধব ইনস্টিটিউশনে দু’দিন ব্যাপী বিজ্ঞানের মডেল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের তিনটি বিভাগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৮টি মডেল জমা পড়ে। তার মধ্যে আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুলের মাধ্যমিক স্তরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অভিনন্দন ভট্টাচার্য, নবম শ্রেণির তথাগত পাল এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের একাদশ শ্রেণির গৌরব সিংহ এবং গোপীনাথ ভাণ্ডারির তৈরি মডেল প্রথম স্থান অধিকার করে। ওই প্রতিযোগিতায় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বোলপুর নীচুপট্টি নীরদবরণী হাইস্কুল দ্বিতীয় এবং সিউড়ির বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন তৃতীয় স্থান অধিকার করে। মাধ্যমিক স্তরে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে সাঁইথিয়ার সিউড় রামেশ্বরী মাতা উচ্চ বিদ্যালয় এবং হুসনাবাদ সুরেন ব্যানার্জী স্মৃতি বিদ্যানিকেতন।

একই বছরে জোড়া সাফল্যে আমোদপুরের স্কুলে বইছে খুশির হাওয়া। অভিনন্দন এবং তথাগত সৌর ‘গ্রিন প্রিজার্ভার’ বা মিনি হিমঘর। ওই মডেল হিমঘরে সৌর এবং বায়ুর মতো অচিরাচরিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে তাপ রোধ, আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ এবং জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকিয়ে ফলমূল, শাকসবজি সংরক্ষণ করা যায় তা দেখানো হয়েছে। গৌরব সিংহ এবং গোপীনাথ ভাণ্ডারিরা কাচের জার, খেলনা, প্লাস্টিকের বোতল সহ বিভিন্ন ঘরোয়া জিনিস দিয়ে তৈরি করেছিল ছোটখাটো আবহাওয়া স্টেশন। ওই মডেলে আবহাওয়া স্টেশনে কী ভাবে বায়ুমণ্ডলের চাপ, বেগ, আদ্রতা উষ্ণতা মাপা যায় তা হাতেকলমে করে দেখানো হয়েছে। শনিবার তারা জানায় , স্কুলের সুনাম বাড়াতে পেরে খুব খুশি। ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি স্যারেদেরও।

মডেল তৈরিতে গাইড শিক্ষক ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক কাজলজ্যোতি কবিরাজ, রসায়ন শিক্ষক সৌমেন সাহা ও স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র শীর্ষবিন্দু বসু। তাঁরা জানান, বিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণাগুলো কাজে লাগিয়ে মৌলিক কিছু তৈরি করতে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। সেই মতো ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নিজের হাতে মডেল তৈরি করে পুরস্কার পাওয়ার অর্থ বিজ্ঞানের প্রাথমিক তত্ত্বগুলো ছেলেরা বুঝতে পেরেছে। এই পুরস্কার অন্য ছাত্রছাত্রীদেরও বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করবে।’’

Solar glazing Amadpur আমোদপুর হিমঘর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy