Advertisement
E-Paper

কাঁধে বেঁধা বর্শা অস্ত্রোপচারে বেরল

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রামে এক জনের সঙ্গে সঙ্গে বচসা চলার সময় পাগলের কাঁধে অন্য জন বর্শা বিঁধে দেয়। রবিবার রাতেই তাঁকে হুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৩০
লড়াই: তখনও কাঁধে বর্শা। নিজস্ব চিত্র

লড়াই: তখনও কাঁধে বর্শা। নিজস্ব চিত্র

ডান কাঁধের ঠিক নীচে বিঁধে গিয়েছিল ধারাল বর্শা। তা শরীরে এমন ভাবে আটকে ছিল যে অ্যাম্বুল্যান্স বা সাধারণ গাড়িতে আহত যুবককে তোলা যাচ্ছিল না। শেষে বড় গাড়ি জোগাড় করে তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার অস্ত্রোপচার করে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পরে হুড়া থানা এলাকার তিলাবনি গ্রামের বাসিন্দা পাগল সিং সর্দারের কাঁধে বিঁধে থাকা বর্শা বের করলেন পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রামে এক জনের সঙ্গে সঙ্গে বচসা চলার সময় পাগলের কাঁধে অন্য জন বর্শা বিঁধে দেয়। রবিবার রাতেই তাঁকে হুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সেখান থেকে পুলিশ একটি বড় গাড়ির ব্যবস্থা করে তাকে পুরুলিয়ায় পাঠায়।

অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় জানান, বর্শাটির একেবারে ডগায় এবং তার একটু উপরে দু’টি আঁকশির মত রয়েছে। এই বর্শা দিয়ে লোকজন মাছ শিকার করে। স্থানীয় লোকজন এই বর্শাকে টেঁটি বা টেঁটা বলেন। নয়নবাবু বলেন, ‘‘ওই যুবকের কাঁধে বর্শার প্রায় চার ইঞ্চি বিঁধে গিয়েছিল। আঁকশি দু’টিই মাংস পেশিতে ঢুকে গিয়েছিল। ছেলেটির ভাগ্য ভাল ছিল যে বর্শাটি ঢুকলেও আড়াআড়ি ভাবে বিঁধেছিল। সোজা ঢুকে গেলে ফুসফুসে বিঁধে যেতে পারত। ক্ষতিগ্রস্ত মাংসপেশির পাশে দুটো শিরা রয়েছে। ওই শিরা যদি কেটে যেত তাহলে খুব বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারত। বিপদ বেড়ে যেত।’’

তিনি জানান, অস্ত্রোপচার করে ফলাটি বের করার পরে যুবকের অবস্থা স্থিতিশীল।

Operation Pierced Spear বর্শা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy