এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলের চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপরে পুলিশের লাঠি ও লাথির প্রতিবাদ চলল শুক্রবার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি চলল অরাজনৈতিক প্রতিবাদও।
এ দিন বিকেলে পুরুলিয়া শহরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে ‘সেভ এডুকেশন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিবাদ সভা করে। সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক কৃপাসিন্ধু গরাই বলেন, ‘‘জেলার স্কুলগুলিতে আগে থেকেই শূন্যপদের সমস্যা ছিল। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের ঘোষণায় সমস্যা বেড়েছে।’’ ওই প্যানেলের যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ওই সংস্থা। পাশাপাশি চাকরিহারা শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
‘অরাজনৈতিক’ উদ্যোগে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে যেখানেই শেষ হয়। পরে হয়েছে বিক্ষোভ সভা। কর্মসূচির উদ্যোক্তাদের দাবি, সব স্তরের ছাত্র-যুব, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, অভিভাবকদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়েছে। সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের ঘটনায় রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক সংগঠনের নেতা ব্যোমকেশ দাস। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের শীর্ষ মহল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। এখন রাজ্য সরকার যদি অযোগ্যদের তালিকা প্রস্তুত করে আদালতে দেয়, তাহলে যাঁরা শাসক দলের শীর্ষ মহলকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে, তারা চেপে ধরবে। তাই রাজ্য চাইছে অযোগ্যদের বাঁচাতে।’’ সভায় যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয়েছে।
শিক্ষকদের উপরে পুলিশের লাঠি ও লাথির প্রতিবাদও চলছে। আদ্রা ও সংলগ্ন এলাকার শিক্ষকদের উদ্যোগে আদ্রা শহরে এ দিন মিছিল বেরোয়। উদ্যোক্তাদের অন্যতম প্রাথমিক শিক্ষক শুভ্রপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শিক্ষকদের পাশাপাশি মিছিলে ছিলেন শিল্পী, অন্য পেশাজীবী ও স্থানীয়দের একাংশ। মিছিল শেষে পথসভায় উপস্থিত আবৃত্তিশিল্পী জয়তী চট্টোপাধ্যায়, বেসরকারি সংস্থার কর্মী সাত্যকি দে-রা বলেন, ‘‘চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর লাঠি ও লাথির ঘটনা সমর্থন করতে পারছি না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)