Advertisement
E-Paper

রাত-দিন ঢিল পড়ছে বাড়ির চালায়! পাহারা দিয়েও ধরা পড়েনি অভিযুক্ত, আতঙ্ক বাঁকুড়ার মেট্যালা গ্রামে

ঘটনার সূত্রপাত দিন সাতেক আগে। আচমকাই রাত ৯টা নাগাদ বেশ কয়েকটি ঢিল এসে পড়ে গ্রামের একটি বাড়ির চালায়। পরের দিন অন্য একটি বাড়িতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে প্রায় প্রতি রাতেই কোনও না কোনও বাড়িতে চলতে থাকে উপদ্রব।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ২০:২৪
Stones reportedly thrown on the roof of several houses in Bankura Chatna

ঢিলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের একাধিক বাড়ির চালা। —নিজস্ব চিত্র।

রাত হোক বা দিন। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকলে চালায় ঢিল এসে পড়ছে। ঢিলের আঘাতে ইতিমধ্যেই ভেঙেছে একাধিক বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চালা। উপদ্রব ঠেকাতে রাতে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের যুবকেরা। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার মেট্যালা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।

ঘটনার সূত্রপাত দিন সাতেক আগে। আচমকাই রাত ৯টা নাগাদ বেশ কয়েকটি ঢিল এসে পড়ে গ্রামের একটি বাড়ির চালায়। পরের দিন অন্য একটি বাড়িতে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে প্রায় প্রতি রাতেই কোনও না কোনও বাড়িতে চলতে থাকে উপদ্রব। ঢিলের আঘাতে ইতিমধ্যেই গ্রামের একাধিক বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপদ্রব ক্রমশ বাড়তে থাকায় গ্রামের যুবকেরা রাতে দলবদ্ধ ভাবে পাহারা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু ভোরের দিকে তাঁরা বাড়ি ফিরে গেলেই আবার শুরু হয়ে যাচ্ছে উপদ্রব।

সম্প্রতি এক ব্যক্তি বাড়িতে তালা দিয়ে মাঠে কাজে গেলে দিনের বেলায় তাঁর বাড়িতেও একই ধরনের উপদ্রব ঘটে বলে অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দা সোনালি দাস বলেন, ‘‘এই অবস্থায় রাতে তো বটেই, এমনকি দিনের বেলাতেও রীতিমতো ভয় লাগছে। অবিলম্বে এই ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বার করে কঠোরতম সাজার ব্যবস্থা করতে হবে।’’ গ্রামেরই বাসিন্দা রঞ্জিত দাস বলেন, ‘‘আমরা রাত পাহারা দিয়েও উপদ্রব ঠেকাতে পারছি না। গ্রামের একপ্রান্তে পাহারা দেওয়ার সময় অন্য প্রান্তের কোনও বাড়িতে ঢিল পড়ছে। আমরা ছাতনা থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। তাঁরা পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।’’

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে অতিপ্রাকৃত কোনও বিষয় জড়িত নয়। গ্রামবাসীরাও জানেন এই কাজ দুস্কৃতীদের। কিন্তু দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি না দিলে এই ঘটনায় এ বার অতিপ্রাকৃত রঙ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।’’

bankura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy