বোরো হাইস্কুলের সামনে। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।
হাট থেকে ফেরার পথে বৃষ্টিতে মাথা বাঁচাতে বড় অশ্বত্থগাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন কয়েকজন। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ে গোড়া উপড়ে মাটিতে আছড়ে পড়ল সেই গাছ। গাছের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। আহত হলেন আরও চারজন। সোমবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বোরো গ্রামে হাইস্কুলের সামনে। মৃতের নাম অনিল সিং (৩৭)। তাঁর বাড়ি বোরো থানার বুরুডি গ্রামে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার বোরো গ্রামে সাপ্তাহিক হাট বসেছিল। এলাকার বাসিন্দাদের মতো অনিলবাবুও ওই হাটে জিনিসপত্র কেনাকাটি করতে গিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাট ভাঙার পরে অল্পস্বল্প বৃষ্টি পড়ছিল। হাটফেরত আরও কয়েকজনের সঙ্গে অনিলবাবু বৃষ্টির মধ্যে বোরো উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি বড় অশ্বত্থ গাছের তলায় দাঁড়িয়ে পড়েন। সেই সময় হঠাৎ অল্পক্ষণের জন্য ধেয়ে আসে প্রবল ঝড়। কিছু বুঝে ওঠার আগে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গাছটি।
ওই হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বোরো থানার দুর্জয়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সহদেব মাহাতো। তিনি জানান, হাটে কেনাকাটা করার পরে বাড়ি ফেরার মুখে দেখেন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। মাথা বাঁচাতে তিনি রাস্তার পাশে একটি দোকানের বারান্দায় দাঁড়ান। তাঁর কথায়, ‘‘হঠাৎ দেখি তুমুল ঝড় শুরু হল। সব যেন এলোমেলো করে দিল। দেখি কারও অস্থায়ী দোকানের ত্রিপল উড়ে যাচ্ছে, কোনও দোকানের প্লাস্টিকের মগ, বালতি গড়াগড়ি খাচ্ছে। সেই সময় হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হল। যেন ভূমিকম্প ঘটল। কিন্তু ওই হাওয়ার দাপটে বাইরে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। মিনিট খানেক পরে ঝড় থামতে রাস্তায় নেমে দেখি হাইস্কুলের সামনে বিশাল গাছটা মাটিতে পড়ে রয়েছে। গাছের ডালের নীচে বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে চিৎকার করছেন।’’ তিনি জানান, আরও লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। তাঁর সবাই হাত লাগিয়ে ওঁদের টেনে বের করেন।
মানবাজার ২ ব্লকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মানবাজার ১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘কাল সন্ধ্যায় বোরোয় তুমুল ঝড় হয়েছে। শুনেছি কয়েকটি বাড়ির চালাঘর উড়ে গিয়েছে। এক ব্যাক্তি গাছের তলায় চাপা পড়ে মারা দিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির বিশদ রিপোর্ট হাতে পাইনি।’’
এ দিকে, সোমবার সন্ধ্যায় জমিতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে এক বালিকা বাজ পড়ে মারা গিয়েছে। মৃত বালিকার নাম পদ্মাবতী বাস্কে (১২)। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বোরো থানার জামদা গ্রামে। বারি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy