স্কুল লাইব্রেরি থেকে তুলে আনা বইয়ে কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। আর তাতেই সন্দেহের বশে পঞ্চম শ্রেণির এক আবাসিক ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক হস্টেল কর্মীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহরের চাকদা এলাকার একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। শুক্রবার ওই ছাত্রের মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মা বাউরি নামে ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে শনিবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ওই কিশোর আপাতত পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সে বলে, ‘‘স্কুল লাইব্রেরি থেকে এক খণ্ড এনসাইক্লোপিডিয়া তুলে এনেছিলাম। বইটার কয়েকটা পাতা ছেঁড়া ছিল। তার জন্য জন্য আমায় দোষ দিয়ে উনি লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। আমি পাতাগুলো ছিঁড়িনি বললেও উনি শোনেননি। কোনও রকমে হাত ছাড়িয়ে পালাই।’’
ওই ছাত্রের মা দীপ্তি মাহাতো পুরুলিয়ার রাঁচি রোডে থাকেন। তাঁর দাবি, মার সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোর ছুটে রাস্তায় চলে গিয়েছিল। রাস্তার লোকজন তাকে হাঁপাতে দেখে টহলরত পুলিশকে জানায়। পুলিশকর্মীরাই তাকে উদ্ধার করে দীপ্তিদেবীকে খবর দেন।
দীপ্তিদেবী জানান, ওই কিশোরের হাত, পা এবং পিঠে আঘাত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলের সামনে দিয়ে অনেক ভারী গাড়ি চলাচল করে। ছুটতে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের ডেকে পাঠাতে পারতেন। তা না করে অন্যায় ভাবে আমার ছেলেকে মারধর করা হল।’’
দীপ্তিদেবীর অভিযোগ, মারধরের সময় স্কুলের কিছু শিক্ষকও সেখানে ছিলেন।
ওই স্কুলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের বিরুদ্ধে কখনও এ রকম অভিযোগ ওঠেনি। ছাত্ররা আমাদের সন্তানের মতো। ওই অভিযোগের তদন্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy