Advertisement
১৮ মে ২০২৪

শিকেয় স্বাস্থ্যবিধি, স্কুলের ভরসা পুকুর

স্কুল বইয়ে লেখা, খাবার আগে হাতে সাবান দেবে। অথচ পুকুরের নোংরা জলে ধোয়া থালাতেই মিড-ডে মিল খাচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা।একদিন বা দু’দিন নয়, অভিযোগ গত এক বছর ধরে এ ভাবেই পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে বোরো থানার আঁকরো-বড়কদম পঞ্চায়েতের বড়কদম প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের।

দলবেঁধে: কাপড় কাচা ও থালা-বাসন ধোয়া এক পুকুরেই। নিজস্ব চিত্র

দলবেঁধে: কাপড় কাচা ও থালা-বাসন ধোয়া এক পুকুরেই। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০০
Share: Save:

স্কুল বইয়ে লেখা, খাবার আগে হাতে সাবান দেবে। অথচ পুকুরের নোংরা জলে ধোয়া থালাতেই মিড-ডে মিল খাচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা। একদিন বা দু’দিন নয়, অভিযোগ গত এক বছর ধরে এ ভাবেই পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে বোরো থানার আঁকরো-বড়কদম পঞ্চায়েতের বড়কদম প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের। কারণ স্কুলের একমাত্র টিউবওয়েলটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু এক বছরে মেরামত আর হয়নি।

স্কুলের প্রধানশিক্ষক রামপ্রসাদ হাঁসদা বলেন, ‘‘এক বছর আগে নলকূপটি খারাপ হয়ে যাওয়ার পর থেকে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের লিখিত এবং মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু নলকূপটি আর সারানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পুকুরের জলেই ছাত্রছাত্রীরা থালা ধুচ্ছে।’’

তিনি জানান, এই স্কুলে বর্তমানে ৬৫ জন পড়ুয়া রয়েছে। কাছেপিঠে জলের ভাল ব্যবস্থা নেই। পড়ুয়াদের তাই বাড়ি থেকে জল নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। অনেকে তাও আনে না। দুপুরের রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর দলের মহিলারা জানাচ্ছেন, প্রায় আধ কিলোমিটার দূর থেকে তাঁরা রান্নার জল বয়ে আনেন। কিন্তু রান্নার বাসন সেই পুকুরের জলেই ধোয়া হচ্ছে।

বড়-কদম গ্রামের বাসিন্দা তথা পড়ুয়াদের অভিভাবক সীতারাম মাহাতো, আশিস মাহাতো, মাধব মাহাতোদের অভিযোগ, ‘‘ওই পুকুরের জল নোংরা হয়ে গিয়েছে। এখন গরমে জল কমে গিয়ে আরও খারাপ অবস্থা। থালা ধোয়া তো দূরের কথা হাত-পা ধোয়াও নিরাপদ নয়। কিন্তু কাঠে জলের সংস্থান না থাকায় বাচ্চাগুলোকে ওই জলেই থালা ধুয়ে খেতে হচ্ছে। প্রশাসনের এ দিকটা নজর দেওয়া দরকার।’’

মানবাজার ২ ব্লকের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ননীগোপাল মাঝি বলেন, ‘‘আমি এই ব্লকে যোগ দেওয়ার আগে থেকে ওই স্কুলের নলকূপ অচল হয়ে আছে। আমাদের হাতে আর্থিক ক্ষমতা নেই। নলকূপটি সারানোর জন্য আমি বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছি।’’ ঘটনাটি শুনে অবশ্য বিডিও (মানবাজার ২) তারাশঙ্কর প্রামাণিক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কর্মী পাঠিয়ে স্কুলটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। দেখছি ওই স্কুলের সমস্যা মেটাতে কী করা যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Students Pond
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE