প্রধান শিক্ষকের আমলে স্কুলের উন্নতি হয়েছে। গত দশ বছরে ছাত্রসংখ্যা ২৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৭০, চার জন শিক্ষক থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ জন। আগে যেখানে ৬টি ঘর ছিল এখন সেখানে হয়েছে ১২টি। শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের পৃথক শৌচালয় থেকে শুরু করে কম্পিউটার ল্যাব, নলকূপ, ইলেকট্রিকের কাজ— রামপুরহাট থানা এলাকার শালবাদরা হাইস্কুলে হয়েছে অনেক কিছুই।
এমন কাজের পুরোধা যিনি, সেই প্রধান শিক্ষক গৌতম মণ্ডল সম্প্রতি বদলি চেয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরে আবেদন করেছিলেন। তা মঞ্জুরও হয়। সে খবর স্কুলে এসে পৌঁছতেই গৌতমস্যারের বদলি আটকাতে উঠে পড়ে লাগে। তাতে যোগ দেন অভিভাবকেরাও। বদলির আবেদন করার আগে পরিচালন সমিতি থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। প্রথমে তা দিয়ে দিলেও পরে তারাই প্রধান শিক্ষককে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
শালবাদরা গ্রামের তাহের আনসারি, বাড়িটোলা গ্রামের লক্ষ্মীরাম মার্ডি, তাঁতবাধা গ্রামের ইদ্রিস মিঞাদের কথায়, ‘‘যাঁর সময়ে স্কুলের এত উন্নতি হল, তাঁকে এ ভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় নাকি!’’ শুরুতে অনুরোধ করে ফল না পেয়ে এক সময় পড়ুয়ারা আন্দোলনের পথ নেন। দশম শ্রেণির পায়েল মণ্ডল, আকাশ মণ্ডল, মৌমিতা হাঁসদাদের আবদার ছিল, ‘‘স্যার, আমাদের কথা ভেবে থেকে যান।’’
অনুরোধ ফেলতে পারেননি প্রধান শিক্ষকও। গৌতমবাবুর কথায়, ‘‘যাঁরা এত ভালবাসে তাঁদের ছেড়ে যাওয়া যায় নাকি।’’ ২০ জুলাই ময়ূরেশ্বরের নকোড়া কাটিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো নির্দেশও চলে এসেছিল। তবে তা আর হচ্ছে না! কাটিগ্রামের টিআইসিকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যোগ দিতে পারছেন না তিনি। স্কুল শিক্ষা দফতরের পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রেজাউল হক এমন সিদ্ধান্তে আইনি কোনও বাধা দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হল তা স্কুল শিক্ষা দফতরকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে।’’
প্রচারে পুতুল। ঘরে ঘরে শৌচালয় নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে পুতুল নাটককে হাতিয়ার করল সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতি। এ দিন পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আমোদপুর জয়দূর্গা হাইস্কুলে স্থানীয় ভবানীপুর সপ্তপদী সংস্কৃতি সংস্থা পরিবেশন করে শৌচালয়ের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক পুতুল নাটক। বিডিও অতনু ঝুড়ি জানান, পড়ুয়ারাই ভবিষৎ। তাদের মধ্যে শৌচালয়ের গুরুত্ব বোঝাতে এমন উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy