Advertisement
০৪ মে ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

ঝান্ডাকে ডান্ডার দাওয়াই সুকান্তের, পাল্টা তৃণমূল

রবিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জেলায় একাধিক কর্মসূচিতে ছিলেন। শাসক দল তৃণমূলকে গোঁজ প্রার্থী নিয়েও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

Sukanta Majumdar.

মহম্মদবাজারের কালীতলা মাঠে বিজেপির জনসভায় সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ০৭:০৭
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে ঝান্ডার লাঠিকে ডান্ডায় পরিণত করার ‘দাওয়াই’ দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জেলায় একাধিক কর্মসূচিতে ছিলেন। শাসক দল তৃণমূলকে গোঁজ প্রার্থী নিয়েও কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।

রবিববার বিকেলে মহম্মদবাজারের কালীপুর মাঠে নির্বাচনী জনসভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। কিন্তু তার জন্য ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা গুলো একটু মোটা হতে হবে। পেটাতে হবে যারা ভোট ও গণতন্ত্র লুট করতে আসবে তাদের।’’ দিন কয়েক আগে মুরালপুরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে তুলে সুকান্ত বলেন, ‘‘আমি শুনলাম আপনারা মুরালপুরে নাকি টনিক দেওয়া শুরু করেছেন। সেটা এক জায়গায় হয়েছে। এ বার ওই টনিক সব জায়গায় দিতে হবে।’’

সুকান্ত আক্রমণ করেছেন পুলিশকেও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা আসলে বিড়াল। বাঘ করে রেখেছে পুলিশ।’’ এ দিনই তার আগে ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশায় নির্বাচনী সভা থেকে পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়ার হুমকি দেন সুকান্ত । তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি এখানকার ওসি আমাদের কর্মীদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছেন। আমি বলছি গুলি করে দেখান। হাইকোর্ট গিয়ে যদি আপনার খাঁকি উর্দি খুলে নিতে না পারি তাহলে আমার নাম সুকান্ত মজুমদার নয়।’’ যদিও দু’টি বিষয়ে পুলিশের প্রতিক্রিয়া মেলে নি।

এ দিন সকালে পৌনে বারোটা নাগাদ সুকান্ত মজুমদার আসেন দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে। ও খয়রাশোলের পাঁচড়া গ্রামে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট প্রচার করেন। ময়ূরেশ্বরের দাঁড়কান্দি থেকে ষাটপলশা পর্যন্ত মিছিল করেন সুকান্ত।

এ দিনই রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সাহাপুর অঞ্চলে চায়ে-পে চর্চায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সব জায়গায় তৃণমূল নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছে। যত সমাজবিরোধী গুন্ডা, চোর তৃণমূলে। প্রায় ১২ হাজার নির্দল প্রার্থী আছে। পঞ্চায়েত থেকে আয় করতে কে জিতবে তাই নিয়ে মারামারি।’’

বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর সওয়াল করেন দুই নেতাই। রামপুরহাটে দিলীপ বলেন, ‘‘তৃণমূল চাইছে হিংসার মাধ্যমে ভোট করাতে। না হলে জিতবে না।’’ মহম্মদবাজারে সুকান্ত বলেন, ‘‘বিভিন্ন জেলায় ভুয়ো ব্যালট পেপার তৈরি হচ্ছে। পুলিশের পোশাকে ভোট লুঠের চেষ্টা হচ্ছে। আমরা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছি। নইলে আদালতে যাব।’’ উভয় নেতার সঙ্গে ছিলেন, ধ্রুব সাহা, সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। দিলীপ-সুকান্ত উভয়েই ফিরহাদ হাকিমের ২০২৪ সালে সরকারে আসা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পাল্টা কাজে লাগানোর হুঁশিয়ারিকে কটাক্ষ করেন। জেলবন্দি তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও কটাক্ষ করেন তাঁরা।

জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল। গতবার ওরা প্রার্থী দিতে পারেনি, তার দায় শাসক দলের ঘাড়ে চাপিয়েছিল।এ বার প্রার্থী দিয়েছে, ভোট হবে। পরিণতি কি হতে পারে সেটা আঁচ করেই এসব যুক্তি, অজুহাত খাড়া করে পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। কারণ ওরা জানে মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE