Advertisement
E-Paper

দু’টাকার চাল কে পাচ্ছে না, খুঁজতে বললেন সূর্য

সভায় সূর্যকান্তবাবু বলেন, “খুঁজে দেখুন, কারা দু’টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন না, কারা ডিজিটাল রেশন কার্ড পাচ্ছেন না।” রাজ্যে পালা বদলের পরে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০
দাবি নিয়ে: বাঁকুড়া শহরের কলেজ রোডে সোমবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

দাবি নিয়ে: বাঁকুড়া শহরের কলেজ রোডে সোমবার সন্ধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

শুধু ভাষণ দিয়ে আর মিছিল করে হবে না, বঞ্চিত মানুষজনকে খুঁজে বের করে আন্দোলনে সামিল করতে হবে বলে বাঁকুড়ায় এসে কর্মীদের নির্দেশ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সূর্যকান্তবাবুর নেতৃত্বে পুরুলিয়া থেকে শুরু হওয়া বামপন্থী গণসংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র জাঠা সোমবার বাঁকুড়ায় আসে। সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার বঙ্গবিদ্যালয়ের মাঠে সূর্যকান্তবাবু সভা করেন।

সভায় সূর্যকান্তবাবু বলেন, “খুঁজে দেখুন, কারা দু’টাকা কেজি দরে চাল পাচ্ছেন না, কারা ডিজিটাল রেশন কার্ড পাচ্ছেন না।” রাজ্যে পালা বদলের পরে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের। দলের নেতা কর্মীদের জনভিত্তি হারিয়ে ফেলাই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন অনেকে। সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের সম্মেলনেও নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এলাকায় না যাওয়া, আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বছর খানেক আগে এ নিয়ে স্কুলডাঙায় সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কার্যালয়ে পোস্টারও দিয়েছিলেন দলের বিক্ষুব্ধরা। সিপিএম কর্মীদের একাংশ মনে করছেন, এ দিনের বার্তায় আখেরে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়ানোর কথাই ঘুরিয়ে বলে গিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক।

সূর্যকান্তবাবু যেদিন তাঁর বক্তৃতায় এ কথা বলছেন, সেই সোমবারই পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতি এবং তার অধীনে থাকা সমস্ত পঞ্চায়েতে কর্মীবিরতি শুরু করেছেন শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা। সেটা হচ্ছে ব্লকের এক শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে। প্রশাসনের অন্দরে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও জেলায় আসার পরে সেই খবর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি। কর্মবিরতির ব্যাপারে জেলায় উপস্থিত সূর্যকান্তবাবুর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই।’’

এই ব্যাপারে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকারের মন্তব্য, ‘‘জেলার একটি ব্লক শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে কার্যত অচল হয়ে যেতে বসেছে। আর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জেলায় থেকেও সেই খবর পাচ্ছেন না। এ বার ওঁদের রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।”

Bankura Surjya Kanta Mishra বাঁকুড়া সূর্যকান্ত মিশ্র
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy