Advertisement
E-Paper

কাশীপুরে উদ্ধার কিশোর-কিশোরী

বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলেই চলে এসেছিল তারা। পুরুলিয়া শহরের ওই দুই কিশোর-কিশোরীকে রেললাইনের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মেলে অসংলগ্ন উত্তর। শেষমেশ অভিভাবকদের কাছে খবর পাঠিয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলেন গ্রামবাসী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৩৩

বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলেই চলে এসেছিল তারা। পুরুলিয়া শহরের ওই দুই কিশোর-কিশোরীকে রেললাইনের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মেলে অসংলগ্ন উত্তর। শেষমেশ অভিভাবকদের কাছে খবর পাঠিয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলেন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে আদ্রা-বাঁকুড়া শাখার সিরজাম রেল স্টেশনের অদূরে কাশীপুর থানার বড়ডিহা রেলগেটের কাছে। প্রসঙ্গত, বাড়ি থেকে পালিয়ে ওই এলাকার অদূরেই কয়েক মাস আগে ট্রেনের তলায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাঁকুড়ার দুই তরুণ-তরুণী।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোর ৬টা নাগাদ বড়ডিহার কাছে রক্ষীহীন রেলগেটের অদূরে রেললাইনের পাশে ওই দু’জনকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেছিলেন রেলগেটের দায়িত্বে থাকা রেলমিত্র কৃষ্ণপদ বাউরি। এত সকালে তারা রেললাইনের পাশে কি করছে জিজ্ঞাসা করায় কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। এর পরেই কৃষ্ণবাবু ঘটনাটি জানান কাশীপুরের মণিহারা অঞ্চলের বিজেপি নেতা মলয় ওরফে মুন্না মিশ্রকে। মলয়বাবু বলেন, ‘‘কয়েক মাস আগেই ওই জায়গার সামান্য দূরে রেললাইনে তরুণ-তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন। ভোরে দুই অচেনা কিশোরকিশোরীকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি। ওরা স্পষ্ট করে কিছুই জানাতে চাইছিল না।’’ এমনকী, কিশোরী প্রথমে নিজের অন্য নাম বলেছিল বলেও তাঁর দাবি। তবে, কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই তিনি জানতে পারেন, দু’জনেরই বাড়ি পুরুলিয়া শহরে। কিশোরটি তাঁকে জানায়, ইন্দবিলে তার এক আত্মীয় থাকেন। সেখানেই সে এসেছিল। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে ঘটনাস্থল থেকে ইন্দ্রবিলের দূরত্ব অনেকটা। মলয়বাবুদের সন্দেহ হওয়াতে পুলিশের স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার বাবলু বাউরিকে তাঁরা ডেকেছিলেন। পরে ইন্দ্রবিলে কিশোরটির আত্মীয়কে ফোন করে ডেকে তাঁর হাতেই দু’জনকে তুলে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য কিশোরটির বাবা ইন্দ্রবিলে এসে দু’জনকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

পরে কিশোরটির বাবা বলেন, ‘‘মেয়েটি আমাদেরই পড়শি। পরিবারের কাউকে না বলে ওরা এ দিন খুব ভোরে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। দু’জনকেই বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’’

adra birbhum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy