Advertisement
E-Paper

গৃহকর্তার ফোনে বেঁচে গেল ব্যাঙ্ক

লোহাপুরের নিচুবাজার এলাকায় ফজলুর হকের বাড়ির দোতলায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০০:০৩
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

বাড়ি মালিকের তৎপরতায় চুরির হাত থেকে রক্ষা পেল পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি ২ ব্লকের লোহাপুরে।

লোহাপুরের নিচুবাজার এলাকায় ফজলুর হকের বাড়ির দোতলায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। সোমবার গভীর রাতে হঠাৎই বাড়ি অন্ধকার হয়ে যায়। গরমে ঘুম ভেঙে যায় ফজলুর হকের। এর পরেই তিনি কিছু একটা ভাঙার শব্দ পান। বছর পঞ্চাশের ফজলুর বলেন, ‘‘উঠে দেখি লোহাপুর স্টেশনের দিকে বিদ্যুৎ থাকলেও ব্যাঙ্কে বিদ্যুৎ নেই। কোথা থেকে আওয়াজ আসছে বোঝার চেষ্টা করলাম।’’

পরে সন্দেহ হওয়ায় তিনি বাড়ির সবাইকে জানান। হাতের কাছে থানার ফোন নম্বর না থাকায় ফজলুর বিডিওকে ফোন করে ঘটনার বিবরণ দেন। বিডিও সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন লোহাপুর ফাঁড়িতে। ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় যেতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে দেখে, ব্যাঙ্কের কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ব্যাঙ্কের শাটারের তালাও দুষ্কৃতীরা ভাঙার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি। পরে নলহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালায়।

ফজলুর এ দিন বলেন, ‘‘পরিবারের সকলের প্রচেষ্টায় ব্যাঙ্ক চুরি হাত থেকে রক্ষা পেল। বিডিও-কে জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ চলে এসেছিল। পরে নলহাটি থানার ওসি এসে ব্যাঙ্কের ছাদেও তদন্ত করেন।’’ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পুলিশি পাহার ছিল ওই ব্যাঙ্কের সামনে। পরে পুলিশের তরফেই নতুন তালা কিনে গেটে লাগানো হয়। বেলার দিকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এলে তাঁর হাতে চাবি তুলে দেওয়া হয়। বিডিও (নলহাটি ২) রাজদীপ শঙ্কর গৌতম বলেন, “বাড়ির মালিক ও পুলিশের তৎপরতায় ব্যাঙ্ক চুরির হাত থেকে রক্ষা পেল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, কোনও ভাবে ব্যাঙ্কের বিদ্যুতের লাইন কেটে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার করেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এসে যাওয়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

Bank Robbery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy