E-Paper

অমর্ত্যের জমি শুনানি পিছোল

অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার আরও এক বার পরবর্তী তারিখ দিল বীরভূম জেলা আদালত৷ আগামী ১১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:২৬
সিউড়ির জেলা আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা। শনিবার।

সিউড়ির জেলা আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।

শেষ হল না শুনানি। অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে জমি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার আরও এক বার পরবর্তী তারিখ দিল বীরভূম জেলা আদালত৷ আগামী ১১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল বিশ্বভারতীর সম্পত্তি আধিকারিক তথা যুগ্ম কর্মসচিব অশোক মাহাতো একটি চিঠি দেন অমর্ত্য সেনকে। ওই চিঠিতে ৬ মে-র মধ্যে শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়ির উত্তর পশ্চিম কোণ থেকে ‘অতিরিক্ত’ ১৩ ডেসিমাল জমি খালি করার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জমি খালি না-করলে প্রয়োজনে ‘বলপ্রয়োগের’ হুঁশিয়ারিও ছিল নোটিসে। বীরভূম জেলা ও দায়রা আদালতে এই উচ্ছেদ নোটিসের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন অমর্ত্যের আইনজীবীরা। কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে সওয়াল জবাব চলেছে।

দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে গত ৮ অগস্ট উচ্ছেদের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দেন জেলা ও দায়রা বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি কোন কোন নথির উপর ভিত্তি করে এমন নোটিস জারি করা হয়েছিল, তাও বিশ্বভারতীর কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল আদালত। এ দিনের শুনানিতে সেই নথি নিয়েই চলে সওয়াল জবাব বলে সূত্রের খবর৷ অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা আদালতে দেখানোর চেষ্টা করেছি, বিশ্বভারতী যে সমস্ত নথির উপর ভিত্তি করে উচ্ছেদের নির্দেশ জারি করেছিল, তা সবটা সত্য নয়। এ দিন সময়ের অভাবে আমরা সবটা বলতে পারিনি। তবে আমাদের আশা করি পরের আগামী তারিখে আমরা বিশ্বভারতী তথ্যগত ভ্রান্তিগুলি প্রতিষ্ঠা করতে পারব।”

অন্য দিকে, বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস বলেন, “অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা আগে বলছিলেন, অতিরিক্ত জমি আছে, কিন্তু সেটা তাঁদের লিজ নেওয়া আছে। এ দিন তাঁরা আদালতে দাবি করেন, কোনও অতিরিক্ত জমি নেই।’’ তাঁর দাবি, অমর্ত্যের আইজীবীরা বিশ্বভারতীর নথির ভুল ধরতে চাইছেন। যে মাপজোক করা হয়েছে, তার ভুল ধরতে চাইছেন। কিন্তু নিজেদের কোনও জরিপের রিপোর্ট নিয়ে আসছেন না। সুচরিতা বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর আধিকারিক, আদালতের আধিকারিক এবং দু'জন আইনজীবীর উপস্থিতিতে ওঁরা যদি জমি জরিপ করে সেই রিপোর্ট নিয়ে আসেন, তা হলে খুবই ভাল।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Visva Bharati University

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy