—প্রতীকী ছবি।
অযোধ্যা যাওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ‘আস্থা’ নামে বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। আজ, সোমবার বিকেলে সিউড়ি স্টেশন থেকে ছাড়বে ওই ট্রেন। ১ মার্চ রামপুরহাট থেকেও অযোধ্যাগামী একটি ট্রেন ছাড়বে। লোকসভা ভোটের মুখে রামমন্দির-আবেগ চাঙ্গা করতে ওই ট্রেনকে হাতিয়ার করছে জেলা বিজেপি। ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করার অভিযোগ তুলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ও বামেরা।
আজ, সোমবার বিকেলে ট্রেন ছাড়ার সময় সিউড়ি স্টেশনে উপস্থিত থাকার কথা জেলা বিজেপির নেতাদের। সিউড়ির বাসিন্দা তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইআরসিটিসির আস্থা প্রকল্প থেকে এককালীন দেড় হাজার যাত্রীর টিকিট বুকিং করা হয়েছে অযোধ্যার জন্য। দলীয় তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, কেবল বিজেপির সদস্যরা নন, নিজেদের খরচে সপরিবার অযোধ্যা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষও। তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, জেলার গরিব মানুষদের একশো দিনের বকেয়া আদায়ে বিজেপি নেতাদের এই তৎপরতা দেখা যায় না।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে রওনা হয়ে মঙ্গলবার অযোধ্যায় পৌঁছবে ট্রেন। রামমন্দির দর্শন সেরে বুধবারেই সিউড়ির উদ্দেশ্যে ফিরতি ট্রেনে রওনা হবেন বীরভূমের বাসিন্দারা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন ভাড়া বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে প্রত্যেককে। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই মন্দির নিয়ে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ৫ ফেব্রুয়ারি রামমন্দির দর্শনে বীরভূম থেকে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন করসেবক ও স্বয়ংসেবক মিলিয়ে প্রায় শ’দুয়েক জেলাবাসী। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের রামমন্দির আবেগকে কাজ লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি বিরোধীরা অবশ্য এ নিয়ে বিঁধেছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে রামমন্দির ছাড়া বিজেপির হাতে অন্য কোনও বিষয় নেই। বাকি সব নেতিবাচক। তাই মানুষের ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা।’’ তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘রামমন্দির দেখাতে নিয়ে যাওয়ার থেকে গরিব মানুষের বকেয়া ১০০ দিনের টাকা আদায় নিয়ে যদি জন্য তৎপর হত বিজেপি, তাহলে বলার মত কিছু হত!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy