সংশোধনাগারের প্রায় আশি শতাংশ মহিলা বন্দি গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত। অধিকাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গার্হস্থ্য হিংসার জেরে খুনের মতো মারাত্মক অভিযোগও। সাজাপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই একই অপরাধে যুক্ত। বাঁকুড়া সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়ে গার্হস্থ্য হিংসার এই পরিসংখ্যান দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করল জাতীয় মহিলা কমিশন।
মহিলা বন্দিদের স্বাস্থ্য এবং সংশোধনাগারের সামগ্রিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধদল বাঁকুড়া গিয়েছিল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার। প্রতিনিধিদলটি সংশোধনাগারে বন্দি মহিলা কয়েদিদের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে।
সংশোধনাগারের পরিকাঠামোগত বিভিন্ন বিষয় খুঁটিয়ে দেখার পরে অর্চনা বলেন, ‘‘রাজ্যের অন্যান্য জেলার সংশোধনাগারগুলির মতো বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারের অবস্থা নয়। এখানে অনুপ্রবেশ, চুরি, ডাকাতি, নারী ও শিশু পাচারের মতো অপরাধে অভিযুক্ত মহিলা বন্দি তেমন একটা নেই। কিন্তু...’’ মহিলা কমিশনের সদস্যের সংযোজন, ‘‘এই সংশোধনাগারে যে ২৬ জন মহিলা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত।’’
আরও পড়ুন:
বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে অর্চনা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে যে ২৬ জন মহিলা বন্দি রয়েছেন, তাঁদের ২০ জনই গার্হস্থ্য হিংসায় অভিযুক্ত। অনেকের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসায় খুনের অভিযোগও রয়েছে। আট জন সাজাপ্রাপ্তের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘‘গার্হস্থ্য হিংসা এমন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা খুনোখুনি পর্যন্ত গড়িয়ে যাচ্ছে। তার আগে অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না। খুনোখুনির ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই গার্হস্থ্য হিংসা পারিবারিক এবং সামাজিক স্তরে হোক বা পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে থামাতে হবে।’’