প্রতীকী ছবি।
কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। এঁদের যত দ্রুত সম্ভব ১০০ দিনের কাজে যুক্ত করতে সক্রিয় হল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন থেকে বিডিও হয়ে তেমন বার্তাই পৌঁছেছে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে।
তাতে বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিক যাঁদের জবকার্ড রয়েছে তাঁদের এখনই ১০০ দিনের কাজে লাগাতে ই-মাস্টার রোল তৈরি করতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের যদি জবকার্ড না-থাকে তা হলে তাঁদের অবেদন ব্লকে পাঠিয়ে জবকার্ডের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেও য়া হয়েছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্য, যত বেশি সম্ভব শ্রমিককে ২৭ তারিখের মধ্যে কাজে নামানো যায়। এবং যত কম সময়ের মধ্যে গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া যায়। কারণ, মানুষের হাতে নগদের অভাবই লকডাউনের মধ্যে সবচেয়ে চিন্তার জায়গা।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল কেরছিল কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার। নির্দেশে বলা হয়েছিল, যে সব এলাকা হটস্পট বা ক্লাস্টার নয়, সেখানে আংশিক ভাবে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু করা যাবে। তার মধ্যে কৃষি মৎস্য, ইটভাটা, নির্মাণ সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রের মতো তালিকায় ছিল ১০০ দিনের কাজও। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরে ২০ এপ্রিল থেকে জেলা জুড়ে ১০০ দিনের কাজ শুরু হয়েছিল লকডাউনের গাইডলাইন মেনে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ কর্মদিবস সৃষ্টি হয়েছে। কাজ পেয়েছেন ১ লক্ষ ২০ হাজার জবকার্ডধারী পরিবার। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত করায় লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে পরিয়াযী শ্রমিকদের। শর্ত একটাই, যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্য ও ভিন্ জেলা থেকে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা ১৪ দিনের নিভৃতবাস শেষ করছেন কোনও উপসর্গ ছাড়াই। অথবা জেলায় ফিরে আসার পরে তাঁদের লালারসের পরীক্ষা হয়েছে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ। আবেদনের ভিত্তিতে কাজ এমজিএনআরইজিএ জেলা নোডাল অফিসার শুভঙ্কর ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘জেলায় মোট সাড়ে পাঁচ লক্ষ পরিবারের কাছে জবকার্ড রয়েছে। তাতে প্রতি পরিবারে গড় দু’জন করে মোট ৯ লক্ষ মানুষ আওতায় এসে যাবেন। যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন, তাঁদের পরিবাবারে যদি জবকার্ড থেকে, তা হলে তার নামটা অন্তর্ভূক্ত করে কাজ দিতে বলা হয়েছে। আর যদি পরিবারে জব কার্ড না থাকে তা হলেও দ্রুত সেই কার্ড তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্ষরিক অর্থেই এমন শ্রমিকদের কাজ দিতে মরিয়া প্রশাসন। বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করতে জেলার পাশাপাশি প্রতিটি ব্লক স্তরেও বৈঠক ডাকা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে জেলার ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে যেগুলি কর্মদিবস সৃষ্টির নিরিখে পিছিয়ে ছিল, সেই সব গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে এ বার যেন আগের বারের ভুল না হয়। জেলার বিডিওদের একাংশ বলছেন, জোর কদমে ১০০ দিনের কাজ চলছে। পাশাপাশি, পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই আবেদন নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত কত বেশি সংখ্যক স্কিম বা প্রকল্প রেডি করে কাজ দিতে পারে, সেই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের টেকনিক্যাল সদস্যদের নিয়ে অলোচনা হবে শনিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy