বছর না ঘুরতেই ঝালদায় তৃণমূলকে পাল্টা দিল কংগ্রেস। ঝালদা ১ ব্লকের ঝালদা-দঁড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন সদস্যকে নিজেদের দলে টেনে নিয়ে ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলকে চাপে ফেলে দিল কংগ্রেস। ওই তিন জন ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের টিকিটেই জিতেছিলেন। এর ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাল শাসক দল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩টি আসনের মধ্যে ১০টিতেই জিতে ঝালদা-দঁড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। বাকি ৩টি আসন পায় বামফ্রন্ট (ফরওয়ার্ড ব্লক)। তৃণমূল ১১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটিতেও জিততে পারেনি। কিন্তু, শাসক দলের পঞ্চায়েত নয় বলে তারা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এই যুক্তি সামনে রেখে কংগ্রেসের ৫ জন সদস্য গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূলে চলে যান। পাশাপাশি ফব-র তিন সদস্যও তৃণমূলে যাওয়ায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর খাসতালুকে এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল।
এ বার তৃণমূলের ঘর ভাঙাল কংগ্রেস। ১২ জুলাই কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে প্রদেশ কংগ্রেসের সভার প্রস্তুতিতে রবিবার ঝালদা সত্যভামা বিদ্যাপীঠে সভা করে ঝালদা ১ ব্লক কংগ্রেস। ওই সভাতেই অনাদি মাহাতো, রাজুফা খাতুন ও শেখ এহসান নামে তৃণমূলের তিন সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতো। তাঁর কথায়, ‘‘ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরল। আমরা খুশি।’’ তৃণমূল ছেড়ে আসা ওই তিন সদস্যের দাবি, তাঁদের বলা হয়েছিল তৃণমূলের যোগ দিয়ে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এলে এলাকায় উন্নয়নের কাজ হবে। এ জন্য পৃথক অর্থও বরাদ্দ হবে। অনাদিবাবু বলেন, ‘‘কিন্তু, আমরা দেখছি, কোনও গরিবের জন্য কিছু চাইতে গেলে তা নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে। উল্টে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি বরাদ্দের সময় দুর্নীতি হচ্ছে।’’ শেখ এহসানের অভিযোগ, ‘‘কারা বাড়ি পাবে, তার তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা এড়িয়ে মুখ দেখে উপভোক্তা ঠিক করা হচ্ছে। দারিদ্র বা সরকারি বিধি সেখানে বিচার্য নয়। এই সমস্ত দেখেই আমরা তৃণমূল ছাড়লাম।’’