Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
MLA

বিধায়ককে ‘বহিরাগত’ বলে স্লোগান

সেখানে শিল্পীরা ‘খেলা হবে’ গান শুরু করতেই মহিলা কর্মীদের একাংশ নাচতে শুরু করেন। 

ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চলছে। সোমবার নলহাটিতে।

ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চলছে। সোমবার নলহাটিতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নলহাটি শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৪৮
Share: Save:

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সামনেই বর্তমান বিধায়ককে ‘বহিরাগত’ বলে স্লোগান তুললেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। সোমবার নলহাটির হরিপ্রসাদ মাঠে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের সম্মেলনে এমন ঘটনায় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন দলীয় নেতৃত্ব। শুধু বহিরাগত স্লোগান তোলাই নয়, এ বার ভোটে নলহাটির পুরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহকে প্রার্থী করতে হবেও দাবি তোলেন ওই কর্মীরা।

এ দিন হরিপ্রসাদ মাঠে সম্মলনের মূল মঞ্চের পাশে আর একটি মঞ্চ ছিল। সেখানে শিল্পীরা ‘খেলা হবে’ গান শুরু করতেই মহিলা কর্মীদের একাংশ নাচতে শুরু করেন। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, মাঠ ভর্তি হয়ে যাওয়ায় অনেকে ঢুকতে পারেনি। মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোট মানেই উৎসব। উৎসবে রান্না হয়। তাই মহিলারা হাতা, খুন্তি, হাঁড়ি নিয়ে তৈরি থাকবেন।’’

সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। সভা শেষের মুখে হঠাৎই মঞ্চের পাশে থেকে কর্মীদের একাংশ আওয়াজ তোলেন ‘রাজু সিংহ জিন্দাবাদ। বহিরাগত প্রার্থী চাই না। রাজু সিংহকে নলহাটি বিধানসভার টিকিট দেওয়া হোক।’ পরিস্থিতি বুঝে রাজেন্দ্রপ্রসাদ হাতজোড় করে ওই কর্মীদের মাঠের বাইরে চলে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কর্মীরা তাঁর কথা না শুনে ‘বহিরাগত প্রার্থী চাই না’ স্লোগান তুলতে থাকেন।

বিধায়কের সঙ্গে পুরপ্রধানের মতবিরোধ বা দ্বন্দ্ব রয়েছে, এমনটা অবশ্য এলাকার তৃণমূল কর্মীরা বলছেন না। তা হলে এ দিন বিধায়ককে বহিরাগত কেন বলা হল? তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরপ্রধান রাজেন্দ্রপ্রসাদকে এ বার নলহাটি কেন্দ্রে টিকিট দেওয়ার দাবি তুলেছেন দলের স্থানীয় কর্মীদের একাংশ। তাঁরাই এ দিনের ঘটনার পিছনে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে বর্তমান বিধায়ক মইনুদ্দিন সামসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ যাঁরা এই দাবি জানাচ্ছেন, তাঁরা পুরসভার ঠিকাদার। আর কিছু বিজেপি কর্মী।’’ বিজেপি কর্মী হলে তাঁদের কাছে হাতজোড় কেন করছেন পুরপ্রধান জানতে চাওয়া হলে বিধায়ক তার উত্তর দেননি। গোটা ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি পুরপ্রধানও।

জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূলে এক দল অন্য দলকে সহ্য করতে পারছে না। তারই বহিঃপ্রকাশ এ দিন দেখা গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC MLA Anubrata Mandal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE