Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
TMC

বাঁকুড়ায় বিজেপির ‘প্যান্ট খুলে নেওয়ার’ নিদান তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির, সমালোচনা

তৃণমূলের দাবি, দিলীপ ‘প্যান্ট খুলে নেওয়া’ বা হাসপাতালে পাঠানোর মতো কথা নিজের ভাষণে বলেন। যাঁরা তৃণমূলের মন্তব্যের নিন্দা করছেন, তাঁরা যেন বিজেপি নেতাদের মন্তব্যও শুনে নেন।

সভায় ভাষণরত তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী।

সভায় ভাষণরত তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৫৭
Share: Save:

তৃণমূলের সভা থেকে বিজেপিকে ক়ড়া হুঁশিয়ারি। কেউ হুঁশিয়ারি দিলেন হাসপাতালে পাঠানোর, কেউ আবার সাংসদের প্যান্ট খুলে নেওয়ার নিদান দিলেন। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের আড়ালডিহি গ্রামের সভা থেকে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

নিজের বিধানসভা এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বাঁকুড়ার তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। সোমবার ইন্দপুর বিধানসভা এলাকায় একটি সভায় বেলাগাম মন্তব্য করতে শোনা গেল বিধায়ককে। অরূপের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘সুকান্ত মজুমদার বলে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের লোকেরা দুয়ারে গেলে তাদের বেঁধে রাখুন। সুকান্তবাবুকে আমি বলতে চাই, খুব সাবধান। আপনি কিন্তু আগুনে ঘি ঢেলে কর্মীদের উস্কে দিচ্ছেন। জেনে রাখুন, তৃণমূল কর্মীরা যে দিন হাত তুলবেন, সে দিন হাসপাতাল ছাড়া আপনাদের আর কোনও জায়গা থাকবে না।’’ এর পরই ওই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খাঁ আক্রমণের নিশানা করেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। রেজাউল বলেন, ‘‘সুভাষ সরকার বিভিন্ন সভায় গিয়ে বলছেন তৃণমূল কর্মীরা গ্রামে এলে গাছে বেঁধে রাখুন। আমি সুভাষকে বলতে চাই, আপনি গ্রামে গেলে আপনার প্যান্ট খুলে নেবে জনগণ।’’

তৃণমূলের বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘কুরুচিকর মন্তব্য করা তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার মুখে এমন কথা অসাংবিধানিক।’’ ঘটনাচক্রে, সুকান্তের পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে কার্যত একই রকম মন্তব্য শুনতে অভ্যস্ত মানুষ। তৃণমূলের দাবি, দিলীপ একাধিক বার প্যান্ট খুলে নেওয়া বা হাসপাতালে পাঠানোর মতো কথা নিজের ভাষণে বলেছেন। যাঁরা তৃণমূলের মন্তব্যের নিন্দা করছেন, তাঁরা যেন বিজেপি নেতাদের মন্তব্যও শুনে নেন।

সমালোচনা হলেও নিজের বক্তব্যেই অনড় অরূপ। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি বিশৃঙ্খলা চাইলে বিশৃঙ্খলা হবে। বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেরিয়ে দলের কর্মীদের সামনে লেলিয়ে দিচ্ছেন। সংঘর্ষ হলে সে ক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের দেখা মিলবে না। তখন এই রাজ্য সরকারকেই তা সামলাতে হবে। তাই সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি নেতাদের সংযত হওয়ার ব্যাপারে আমি সতর্ক করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE