—নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীতে অসহনীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিজের আধিপত্য স্থাপনে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গৌরব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারস্থ হলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। সোমবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বোলপুরের সাংসদ। সাংসদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা উপাচার্যের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিদ্যুতের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ এনেছেন অসিত। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতীর শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী-সহ পেনশনভোগীদের বেতন ও পেনশন আটকে রাখার মতোই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে এক বছর ধরে সাসপেন্ড করার অভিযোগেও সরব হয়েছেন সাংসদ। ধর্মেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে সাংসদের দাবি, ‘নোবেলজয়ী শ্রদ্ধেয় গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অসহনীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আর্থিক দুর্নীতি, কর্মীদের বরখাস্ত করা, পেনশন ও বেতন আটকে রাখা-সহ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।’ সাংসদের আরও দাবি, ‘উপাচার্য নিজের আধিপত্য স্থাপনের জন্য আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছেন। এতে কর্মী ও অধ্যাপকেরা চরম উদ্বেগে রয়েছেন।’ বিশ্বভারতীর মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন সাংসদ।
সাংসদের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে বামফ্রন্ট সমর্থিত পড়ুয়া সংগঠন-সহ বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন (ভিবিইউএফএ)। সাংসদ বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত ভাবে পদক্ষেপ করার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy