Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কুকুরের দাপট হাসপাতালে, প্রসূতির পাশে রাত জেগে আত্মীয়েরা

বিষ্ণুপুর ব্লকের প্রকাশঘাটের নাসরিন বিবি  সোমবার জেলা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। মঙ্গলবার রাতে ভূমিষ্ঠ হয় সন্তান। বেডের নীচে ছিল একটা মুড়ির প্যাকেট। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎ নজরে আসে, একটা কুকুর সেটা মুখে নিয়ে পালাচ্ছে।

যত্রতত্র: বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল চত্বর। ওয়ার্ডেও কুকুরের আনাগোনা লেগে থাকে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

যত্রতত্র: বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল চত্বর। ওয়ার্ডেও কুকুরের আনাগোনা লেগে থাকে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১০
Share: Save:

জেলা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে অবাধে ঘুরে বেড়ায় কুকুর। রাতেও নিস্তার নেই। প্রসূতির পাশে রাত জেগে বসে থাকেন আত্মীয়।

বিষ্ণুপুর ব্লকের প্রকাশঘাটের নাসরিন বিবি সোমবার জেলা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। মঙ্গলবার রাতে ভূমিষ্ঠ হয় সন্তান। বেডের নীচে ছিল একটা মুড়ির প্যাকেট। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎ নজরে আসে, একটা কুকুর সেটা মুখে নিয়ে পালাচ্ছে। পাশে যে আত্মীয়-স্বজন ছিলেন, তাঁরা তাড়িয়ে দেন। কিন্তু কুকুর খালি ফিরে ফিরে আসে। গড়বেতা থেকে আসা এক প্রসূতির আত্মীয় মিনু হারার দাবি, রাত ২টোর সময়ে তাঁকেও দু’বার উঠে কুকুর তাড়াতে হয়েছে। বলছিলেন, ‘‘ভয়ে দু’চোখের পাতা এক করতে পারি না।

কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে প্যাকেটে ভরা ১৬টি কুকুর শাবকের দেহ উদ্ধার হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসেছে গোটা রাজ্য। পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে, হাসপাতালে কুকুর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সময়মতো পদক্ষেপ না করারও। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে গিয়েও সেই অভিযোগই কানে এল। সোনামুখী থেকে আসা প্রসূতি টুম্পা ঘোষ বলেন, “বেড়ালও হামেশাই ঢুকে পড়ে। তবে কুকুরের ভয়টাই মূল। শুনেছি হাসপাতালে অনেক নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে। কী করছেন তাঁরা?’’ নাসরিন বলেন, ‘‘যাঁরা বেড না পেয়ে মেঝেতে পড়ে আছেন, তাঁদের ভয় সব থেকে বেশি। প্রসূতিদের যন্ত্রণার চোটে কুকুর তাড়ানোর শক্তিটুকুও থাকে না। এই রকম অবস্থায় বাচ্চা মুখে নিয়ে যদি কুকুরের পালায়, তার দায় নেবে কে?’’

বিষ্ণুপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিকের বক্তব্য, ‘‘বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর অভাব নেই। তার পরেও কুকুর নিয়ে অনেকের থেকে অভিযোগ আসছে।’’ দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বিষ্ণুপুর হাসপাতালের সুপার সুব্রত রায় বলেন, “গ্রিলের ফাঁক গলে মাঝেমধ্যে কুকুর ঢুকে পড়ে। কর্মীদের বলেছি আরও সতর্ক হতে।’’

এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) মানস মণ্ডলও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hospital Street Dogs Patients
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE