নানুরে আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, উদ্ধার বোমা, ঘরছাড়াদের সাংবাদিক বৈঠক দলীয় দফতরেই!

বীরভূমের নানুরে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় কর্মীদের গ্রামছাড়া করার অভিযোগ দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ, মিথ্যা খবর রটিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তারই মধ্যে সেখানে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা।

অভিযোগ, নানুর ব্লকের একাধিক গ্রামে তৃণমূলেরই একাংশের অত্যাচারে বেশ কয়েকজন কর্মী গত ছ’মাস ধরে গ্রামছাড়া। এ বিষয়ে শনিবার বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলীয় কর্মী জামশেদ আলি খান। সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান।

তাঁদের অভিযোগ, নানুরের বাসাপাড়া এলাকার তৃণমূল নেতা বাপ্পা চৌধুরী, মহিম শেখ ও শুকুর শেখের নেতৃত্বে তৃণমূলের একাংশই দলের অন্য কর্মীদের গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এমনকি মারধরও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের নেতৃত্বে তাঁরই ঘনিষ্ঠেরা এই অশান্তি তৈরি করছে।

অন্য দিকে, পাল্টা সাফাই দিয়েছেন অভিযুক্ত বাপ্পা, মহিমেরা। তাঁদের দাবি, গ্রামছাড়া হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশের খাতায় অভিযুক্ত, তাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি, জামশেদ নিজেকে ‘দলের মুখপাত্র’ হিসেবে পরিচয় দিলেও তৃণমূল কখনও তাঁকে এই পদ দেয়নি বলে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। কেরিম‌ের ‘সম্পত্তির পরিমাণ’ নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন বাপ্পা-মহিম।

জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দলের একাংশের মতে, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল যে কাজল শেখ এখনও অনুব্রত মণ্ডলকে অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দিলে বা তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। রাজনৈতিক ভাবে উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার ফের এক ড্রাম তাজা বোমা উদ্ধার করেছে নানুর থানার পুলিশ। সন্ধ্যা নাগাদ নানুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নানুরের থুপসারা অঞ্চলের তাকোরা গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে একটি ঝোপের নিচে মাটির ভিতর থেকে এক ড্রাম তাজা বোমা উদ্ধার করেছে নানুর থানার পুলিশ। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে ওই বোমাগুলিকে মজুদ করেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।