কুলটির পরে আসানসোল। আসানসোলের জামুরিয়ায় অবৈধ খাদানে কয়লা কাটতে গিয়ে আটকে পড়েন দুই যুবক। খনিতে আচমকা ধস নামায় বিপত্তি। দু’জনের দেহই উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ করেছেন তাঁরা। খাদান কর্তৃপক্ষও কোনও পদক্ষেপ করেননি। এই নিয়ে শনিবার সকালে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শনিবার আসানসোলের জামুরিয়া থানার অন্তর্গত নর্থ শিয়ারসোল কয়লা খনি সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা হয়েছে।
জামুরিয়া শিল্প তালুকের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে চার জন কয়লা কাটতে গিয়েছিলেন। দু’জন আটকে পড়েন। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ এবং প্রশাসনকে জানানো হয়, কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষকেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ওই দু’জনকে উদ্ধার করার কোনও চেষ্টা তাদের তরফে করা হয়নি। যে দু’জন খনিতে আটকে পড়েন, তাঁদের নাম রবি কর্মকার এবং সঞ্জীব বাউরি। তাঁরা স্থানীয় হিজল গড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বারুল গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, পেটের জ্বালায় জামুরিয়া শিল্প-তালুকের এই যুবকেরা সারা রাত ধরে অবৈধ খনিতে কয়লা কাটার কাজ করেন। ৪০০ টাকার বিনিময়ে এই কাজে রাজি হন তাঁরা। শনিবার দুপুরে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মিথেন গ্যাসেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, সজল মাঝি ওরফে গোষ্ঠ নামে এক ব্যক্তি ওই এলাকায় অবৈধ ভাবে কয়লা কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। কিন্তু খনিতে দুর্ঘটনা ঘটলে তিনি দায়িত্ব নেন না। মৃতদেহ কয়লা খাদানে চাপা দিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। কিন্তু এ বার আটকে থাকা যুবকের পরিবারের সদস্যেরা বিক্ষোভ দেখানোয় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। এসিপি সেন্ট্রাল বিমান মিরধা জানান, খনিটি মাঠের একেবারে ভিতরে থাকায় পৌঁছোতে সময় লেগেছে উদ্ধারকারী দলের। ইসিএলকেও খবর দেওয়া হয়। শেষে উদ্ধার হয়েছে দু’টি দেহ।