—প্রতীকী ছবি।
মাত্র চার ফুট জমি! তা-ই নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধকে বিবাদ। তারই পরিণতিতে খুন হতে হল বাবা ও ছেলে। ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধেই তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে বাঁকুড়ার নতুনচটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মথুরামোহন দত্ত ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্ত। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন মথুরামোহনের স্ত্রী মল্লিকা দত্ত। তিনি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার ফুট জমির মালিকানা নিয়ে অনেক দিন ধরেই প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাসের পরিবারের সঙ্গে বিবাদ চলছিল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুরামোহনের পরিবারের। বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পড়শিরা জানান, মাঝেমধ্যেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হত। অভিযোগ, রবিবার রাতে আচমকাই পিন্টু ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা আচমকা চড়াও হন মথুরামোহনের পরিবারের উপর। রড ও কাটারি জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে শ্রীধরের উপর হামলা চালান। শ্রীধরকে এলোপাথাড়ি কাটারির কোপ মারা হয়। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন মথুরামোহন ও তাঁর স্ত্রী মল্লিকা দত্তও। পরে খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মথুরামোহন ও শ্রীধরের। স্ত্রী মল্লিকা দত্ত সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এখনও তাঁদের খোঁজ মেলেনি।
মথুরামোহনের বড় ছেলে সায়ন দত্ত বলেন, ‘‘আমি চাকরি সূত্রে কলকাতায় থাকি। গতকাল রাতে মা টেলিফোনে আমাকে এই হামলার কথা জানানোর পর তড়িঘড়ি আমি বাঁকুড়ায় ফিরে আসি। এসে দেখি বাবা ও ভাই মারা গিয়েছে। পিন্টু রুইদাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের পরিবারে হামলা চালিয়ে বাবা ও ভাইকে খুন করেছে। এই ঘটনায় আমরা তাঁদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ এলাকার কাউন্সিলার তথা বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের পথেই চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy