হস্টেলের ঘরে ছেঁড়া একটা সাদা কাগজে পেন্সিলে লেখা, ‘আই গিভ আপ’। ঘরের টেবিলে রাখা ছিল সেই কাগজ। আর পাশে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল কৃষ্ণকান্তের দেহ। গ্রেটার নয়ডার নলেজ পার্ক থানা এলাকায় একটি কলেজে এমসিএ করছিলেন কৃষ্ণকান্ত। কলেজেরই হস্টেলে থাকতেন তিনি। বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। শনিবার হস্টেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। একটি চিঠিও উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা, ‘‘আমি হেরে গেলাম। মৃত্যুর পর আমার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ো। পারলে আমাকে ক্ষমা কোরো।’’
কৃষ্ণকান্তের বাবা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু খুব একটা ভাল ঠেকেনি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। হস্টেলের চতুর্থ তলার একটি ঘরে হৃতিক নামে এক পড়ুয়ার সঙ্গে থাকতেন কৃষ্ণকান্ত। শনিবার সকালে দু’জনের একসঙ্গে কলেজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কৃষ্ণকান্ত হৃতিককে জানান, তিনি একটু পরে যাবেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু ক্ষণ পরেই কলেজে হৃতিককে ফোন করেন কৃষ্ণকান্তের বাবা। তাঁকে ফোন করে হস্টেলে দ্রুত যাওয়ার অনুরোধ করেন। হৃতিক তখন হস্টেলের অন্য সহপাঠীদের ফোন করে কৃষ্ণকান্তের খবর নিতে বলেন। ওই সহপাঠীরা কৃষ্ণকান্তকে ডাকতে গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে কৃষ্ণকান্তকে নামান তাঁরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। রুমমেট হৃতিক দাবি করেছেন, কৃষ্ণকান্তের মাথায় কোনও সমস্যা ছিল। বেশি রাত বা বেশি ক্ষণ পড়লেই তাঁর সমস্যা হত। বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তা করতেন তিনি। পড়াশোনায় খুব ভাল ছিলেন কৃষ্ণকান্ত। এমনই দাবি করেছেন হৃতিক। কিন্তু কী কারণে আত্মঘাতী হলেন, কিসের হেরে যাওয়ার কথা তিনি বলে গেলেন, তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ এবং পরিবার।