Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মুরারইয়ে লকেটের গাড়ি ভাঙচুর

এ দিন লকেটের দাবি, ‘‘মুরারই থানার গোপালপুর গ্রামে বিস্তারক কর্মসূচিতে এলাকার মানুষ আমাদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ শোনার পরে গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে আসি।

ভাঙচুর: হামলার পরে ভাঙা গাড়ি দেখাচ্ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। রামপুরহাটে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।

ভাঙচুর: হামলার পরে ভাঙা গাড়ি দেখাচ্ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। রামপুরহাটে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মুরারই ও বোলপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০১:৪২
Share: Save:

বিজেপির বিস্তারক কর্মসূচিতে এ বার বিজেপি রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হেনস্থা এবং গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘণ্টা দেড়েক ধরে নেত্রী-সহ বিজেপি-কর্মীদের মুরারই এলাকায় কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের সামনেই লকেটের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। এবং নেত্রী মুরারই থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় বলে ক্ষোভ বিজেপির। দলের জেলা-সহ সভাপতি সুধীররঞ্জন দাস গোস্বামী এ দিন মুরারই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের দুলাল বিন-সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার রাতেই বিস্তারকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বোলপুর থানার সিঙ্গি পঞ্চায়েত এলাকায়।

এ দিন লকেটের দাবি, ‘‘মুরারই থানার গোপালপুর গ্রামে বিস্তারক কর্মসূচিতে এলাকার মানুষ আমাদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ শোনার পরে গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে আসি। পথে তৃণমূলের লোকজন মহিলাদের নিয়ে আমাকে হেনস্থা করে। হেনস্থার ছবি আমাদের এক কর্মী তুলতে গেলে তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। প্রিয়তোষ মণ্ডল নামে ওই কর্মীকে মারধর করা হয়।” বিজেপি-র অভিযোগ, গোপালপুরের ঘটনার আগে বিস্তারককে মারধরের অভিযোগ ওঠে বোলপুর ব্লকের সিঙ্গি পঞ্চায়েতে। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমাদের দুই বিস্তারক প্রশান্ত মণ্ডল এবং সন্তোষ সরকার সোমবার যথাক্রমে মধ্যখাড়া এবং বেজড়াতে প্রচারে গিয়েছিলেন। সোমবার বিকেলে ওই কর্মসূচি চলাকালীন দুই বিস্তারককে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের খুনের হুমকি দিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে। বোলপুরের রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েতের সুপুর গ্রামে প্রচারে গিয়েও হেনস্থা কড়া হয়েছে দলের কর্মী-সমর্থকদের।’’

এ দিন গোপালপুরের পরে ভাদীশ্বর গ্রামে যাওয়ার জন্য মুরারই বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পা রাখতেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বাধা দেন। মুরারই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান দিয়ে মুরারই বাজার এলাকায় লকেটকে ঢুকতে বাধা দেন। বাধা পেয়ে ফেরার সময় তৃণমূল কর্মীরা গাড়ির পিছনের একাংশ ভাঙচুর করে বলে লকেট অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘অভিযোগ জানাতে মুরারই থানাতে যেতেও পুলিশ প্রথম দিকে বাধা দেয় এবং পুলিশ আমাদের কর্মসূচি বন্ধ রেখে ফিরে যেতে বলে। তবুও জোর করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’

এ দিনের কর্মসূচিতে লকেট ছাড়া, বিজেপির বীরভূম জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী, সহ -সভাপতি সুধীররঞ্জন দাস গোস্বামী ছিলেন। শুভাশিসবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা পুলিশের সামনেই লকেটের গাড়িতে ভাঙচুর করেছে।

তৃণমূলের মুরারই ১ ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘মুরারই থানার মহুরাপুরে তৃণমূলের যুব সংগঠনের বৈঠক ছিল। এলাকার প্রায় সমস্ত নেতা-কর্মী এ দিন বৈঠকে ছিলেন। সুতরাং বিজেপি যে অভিযোগ করছে, তা ঠিক নয়।”

বিজেপি নেতাদের পাল্টা টিপ্পনী, ‘‘মুরারই ব্লকে তৃণমূলের অনেক নেতা। কে, যে কখন কী করছে সে খবর বিনয় ঘোষ পাবেন কী করে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE