পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালাল তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সমর্থকরা। পাশাপাশি দলীয় সভাপতিকে হেনস্থাও করে তারা। এরপর নিজেরাই পঞ্চায়েত সমিতির কাজের বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করে। মঙ্গলবার বিকালে মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির ঘটনা। ঘটনার পর মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের ধীমান সাহার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায়, “একজন সভাপতি হিসাবে অপমানিত বোধ করেছি। এখনও আমি কিছু বলতে চাই না। তবে সময় হলে দলীয় নেতৃত্বর সঙ্গে আলোচনা করে দলের জেলা সভাপতিকে সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত জানাব।’’
তবে সভাপতি না জানালেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারই কবি নজরুল কলেজের কিছু কাগজ নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে সই করতে আসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন মহিলা সমর্থক। অভিযোগ, সভাপতি সেই কাগজে সই করেননি। উল্টে তাঁদের আবেদন পত্র নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেন। এই খবর পেয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু কর্মী সমর্থক মত্ত অবস্থায় সভাপতির ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে। মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীমান সাহা অবশ্য বলেন, ‘‘ভুল অভিযোগ। আমার কাছে সই করার জন্য কেউ ঘুরে গিয়েছে এটা কোনও দিন হয়নি। ওরা ঠিক কি বলতে চেয়েছিল আমি বুঝতে পারিনি। তবে ওরা টেবিলের পেনদানি ভেঙেছে। কাঁচের টেবিলে কিল মেরেছে। দরজায় লাথি মেরেছে।’’
তৃণমূলের মুরারই ১ ব্লক সভাপতি তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিনয় ঘোষ দাবি করেন, ‘‘আমি আজ ব্লকে যাইনি। পেপারে ছাপানোর মতো কিছুই ঘটেনি। ভাঙচুরও হয়নি। সভাপতির বিরুদ্ধে কিছু ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ দেখাতে এসেছিল, দেখানোর সময় পায়নি। আমাদের দলের ব্যাপার, আমরা বুঝে নেব।’’
এ দিন স্থানীয় তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতা অষ্টম রবিদাসের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেরা এরকম কিছু ঘটালে আমার কাছে খবর আসত। তবুও খোঁজ খবর নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy