Advertisement
১৪ অক্টোবর ২০২৪
Wildfire

জ্বলছে জঙ্গল, থমকে গেল গাড়ি

কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দা রাজা বাউরি, যোগেন দাসের মতো অনেকেই বাড়ির কাছে জঙ্গলে আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

বিষ্ণুপুর-খড়্গপুর জাতীয় সড়কের পাশে অনেকখানি এলাকা জুড়ে আগুন লাগল।ছবি: শুভ্র মিত্র

বিষ্ণুপুর-খড়্গপুর জাতীয় সড়কের পাশে অনেকখানি এলাকা জুড়ে আগুন লাগল।ছবি: শুভ্র মিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৭:৪২
Share: Save:

জাতীয় সড়কের পাশে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। বিপদের আশঙ্কায় রাস্তার দু’প্রান্তে একের পর এক গাড়ি থামিয়ে দিল পুলিশ। দমকল কর্মীদের পাশাপাশি আতঙ্কে বাসিন্দারাও বালতিতে জল ভরে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগালেন। বুধবার দুপুরে যমুনাবাঁধ কুষ্ঠ কলোনির সামনে ভয়াবহ আগুনে কমবেশি ৪০ হেক্টর জঙ্গল পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেত বন বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ।

এ দিন দুপুর প্রায় সওয়া ১২টা নাগাদ বিষ্ণুপুর-খড়্গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিষ্ণুপুর রেঞ্জের ওই জঙ্গলে আগুন নজরে আসে। সে সময় রাস্তা দিয়ে একের পর এক যাত্রিবাহী বাস-সহ অন্যান্য গাড়ি যাচ্ছিল। আতঙ্কে অনেক চালক দূরে গাড়ি থামিয়ে দেন। পুলিশ কর্মীরা এসে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। কাছেই বসতি থাকায় বাসিন্দারাও ততক্ষণে বালতিতে জল ভরে আগুন নেভানো শুরু করেন। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন নিয়ে এসে কর্মীরাও আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন দমকলের এক আধিকারিক। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীরা এসে রাস্তার পাশে থাকা লাইনে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। ততক্ষণে জাতীয় সড়কের পাশ বরাবর প্রায় ৫০০ মিটার জঙ্গলের একাংশ পুড়ে গিয়েছে।

কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দা রাজা বাউরি, যোগেন দাসের মতো অনেকেই বাড়ির কাছে জঙ্গলে আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা বলেন, “সবাই বাড়ির ভিতর থেকে ভয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। বাতাসে যে ভাবে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল, তাতে আমাদের টিন, খড়ের ছাউনির ঘর পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সবাই আগুন নেভাতে হাত লাগাই।’’

বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুরে মোটরবাইকে আসছিলেন সুবল দে নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “দূর থেকে দেখি ধোঁয়ায় আকাশ ভরে গিয়েছে। এগোতে গায়ে আগুনের আঁচ লাগতে শুরু করে। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।”

আগুন লাগার কারণ সে ভাবে জানা না গেলেও বিষ্ণুপুরের পাঞ্চেত বন বিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “গাছের নীচের শুকনো আগাছায় আগুন লেগেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান। গ্রামগঞ্জের মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক। তাঁরা যেখানে সেখানে জ্বলন্ত কিছু ফেলেন না। জাতীয় সড়কপথে গাড়ি থেকে জ্বলন্ত সিগারেট ছুড়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তেমন কিছু ঘটেছে কি না তদন্ত করা হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Wildfire Bishnupur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE