বছরখানেক আগে এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণ করা এবং সেই দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল সিমলাপাল থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সুনীল মাহাতো। বছর পঁচিশের সুনীলের বাড়ি সিমলাপালের কালাবতী গ্রামে। পস্কো আইনে পুলিশ মামলা রুজু করেছে বলে জানিয়েছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, গত বছর সরস্বতী পুজোর সময় ওই কিশোরীকে একলা পেয়ে তিন যুবক ধর্ষণ করেছিল বলে তার বাবা সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে তিনি সেই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করে অভিযুক্তেরা ছড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুনীল মাহাতোকে ধরা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগের তদন্ত চলছে। শিশু যৌন নির্যাতন রোধ আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের ওই কিশোরীর বাবা তাঁদের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, গত বছর স্কুলে সরস্বতী পুজো দেখে বাড়ি ফিরছিল সে। রাস্তায় তাকে সুনীল মাহাতো-সহ তিনজন আটকায়। এরপর রাস্তার পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই ধর্ষণের দৃশ্য অভিযুক্তদের একজন মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে রাখে। পরে তা ইন্টানেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কিশোরীর বাবার দাবি। ওই কিশোরীর বাবার দাবি, ‘‘ঘটনার কথা মেয়ে তখন আমাদের জানায়নি। পরে স্থানীয় ভাবে ওই ঘটনার ছবি মোবাইলে দেখে কয়েকজন আমাকে জানান। তখন মেয়ের কাছে পুরো ঘটনা জেনে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি তাঁরা বিশদে জানেন না। মঙ্গলবার ধৃত যুবক এবং কিশোরীকে বাঁকুড়া জেলা আদালতের বিশেষ কোর্টে হাজির করানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy