বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর সঙ্গে ‘জমি-বিবাদ’ নিয়ে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলৎজ় ও প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অমিয়কুমার বাগচি। ঠিক তার পরেই বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী জানাল, বিশ্বের যত বড় ব্যক্তিত্বই অমর্ত্য সেনকে সমর্থন করুন না কেন, জমি-বিতর্কে তারা নিজের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও সরবে না।
অমর্ত্য সেনের প্রতি বিশ্বভারতীর আচরণের প্রতিবাদ করে এবং উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দেশ-বিদেশের ৩০২ জন শিক্ষাবিদ সম্প্রতি যে চিঠি দিয়েছিলেন, তাতে স্টিগলিৎজ় ও অমিয়কুমার নিজেদের নাম যুক্ত করতে চেয়েছেন। শুক্রবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী বলেছে, “ভারতে অনেকেই এবং বিদেশ থেকে কয়েক জন বিশ্বভারতীর দাবিকে অস্বীকার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, অধ্যাপক অমর্ত্য সেন ১৩ ডেসিমাল জমি দখল করেছেন। এটা আশ্চর্যের বিষয়। এই দাবি অবাঞ্ছিত।’’ এর পরেই বিবৃতিতে বলা বয়েছে, ‘‘বিশ্বভারতী তাদের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও নড়বে না। জমিটি বিশ্বভারতীর এবং বিশ্বভারতী নৈতিক ভাবে সেই জমি পুনরুদ্ধার করতে বাধ্য। উপাচার্য কেবলমাত্র তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন।’’ বিশ্বভারতীর প্রশ্ন, ‘‘যাঁরা অমর্ত্য সেনের সমর্থনে স্বাক্ষরকারী, তাঁরা কেউ কি তাঁদের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি অন্যদের দখল করতে দেবেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘ধ্বংস’ করার এই ‘প্রচেষ্টা’ কি ‘ভাল’ হচ্ছে?’’ বিশ্বভারতী জানিয়েছে, তারা এই ‘যুদ্ধ’ আইনি পথেই লড়বে।
বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ বিবৃতির নিন্দা করেছে। সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অমর্ত্য সেনের নামে কুৎসা রটানোর তীব্র নিন্দা করছি। এমনকি, দু’জন নোবেলজয়ী-সহ বিশ্বজোড়া বিদ্বজ্জনেদের কটূক্তি করার দুঃসাহসও দেখাচ্ছেন উপাচার্য। যিনি নিজে জাতিবৈষম্যমূলক হেনস্থায় অভিযুক্ত। তাঁর দ্রুত মানসিক আরোগ্য কামনা করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy