Advertisement
E-Paper

জেলখানা হচ্ছে, দাবি সুশোভনের

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৭:৩০
রতনপল্লিতে বিশ্বভারতীর পাঁচিল। ফাইল চিত্র

রতনপল্লিতে বিশ্বভারতীর পাঁচিল। ফাইল চিত্র

পাঁচিল বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদ্যপ্রাক্তন সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সুশোভনবাবু বলেন, ‘‘পিচের রাস্তা আর কংক্রিটের দেওয়াল বিশ্বভারতীর চরিত্রকেই নষ্ট করছে। বিশ্বভারতীকে জেলখানা বানানো হচ্ছে।’’

সীমানা নির্দিষ্ট করতে এবং দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে উঠেপড়ে লেগেছে বিশ্বভারতী। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে রতনপল্লির একটি বড় এলাকা উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। এ দিন সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন সুশোভনবাবু। সীমানা নির্দিষ্ট করা এবং জমি

পুনরুদ্ধার প্রয়োজন, সে কথা স্বীকার করে নিয়েই বলেন, ‘‘প্রাচীর দিয়ে বিশ্বভারতী ঘিরে ফেলা সেই ঘটনার সমাধান নয়।’’ বর্তমান উপাচার্যকে প্রাচীর না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন বলেও জানান।

আশ্রম এলাকার বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিশ্বভারতীর নিজস্ব জায়গা বেদখলের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। বিশ্বভারতীতে প্রাচীর তোলাকে ঘিরে বিতর্কের সূচনা প্রাক্তন উপাচার্য সুজিতকুমার বসুর সময়কাল থেকে। তাঁর কার্যকালে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতর ও আশ্রম এলাকায় সীমানা প্রাচীর তোলার কাজ শুরু হয়। তখন অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দা ও আশ্রমিকদের বড় অংশ আপত্তি করেননি। প্রাচীর বিতর্কে এর আগেও মুখ খুলেছেন অনেক ব্যক্তিত্ব। এই নিয়ে প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “হয়তো নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, এই ভাবে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা ঠিক নয়।”

বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে, সীমানা চিহ্নিতকরণ নয় বরং জমি বেদখল রুখতেই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর ১০০ একরের উপরে জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। সেটা আটকাতেই সক্রিয় কর্তৃপক্ষ। সরকারী নির্দেশে এই কাজ হচ্ছে। নিরাপত্তা ও নান্দনিকতার দিকটি মাথায় রেখে সীমানা ঘেরার কাজ হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

Visva Bharati Shantiniketan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy