দূষণ নিয়ন্ত্রণ অন্যতম ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে উঠেছে বর্তমানে। সে সম্পর্কে সচেতন করতে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে রঘুনাথপুরের জয়চণ্ডী পাহাড়ে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ শিবির ও কর্মশালার আয়োজন করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। মঙ্গলবার ও বুধবার শিবির চলবে। এ দিন ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক বিবেক পঙ্কজ-সহ অন্য আধিকারিকেরা।
পর্ষদের এই কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে জয়চণ্ডী পাহাড়ের ‘হিল রিসর্ট’ কর্তৃপক্ষ। আয়োজকেরা জানান, দু’দিনের শিবিরে যোগ দিচ্ছে রঘুনাথপুরের ন’টি ও পশ্চিম বর্ধমানের বরাকরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা। কর্মশালার প্রথম ধাপে জয়চণ্ডী পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় থাকা নানা প্রজাতির গাছ চেনানো হয় পড়ুয়াদের। গাছগুলির বিজ্ঞানসম্মত নাম, তার থেকে উপকার, গুণাগুণ সব নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্মী ও আধিকারিকেরা। পরে সেই তথ্যের উপর কুইজ় প্রতিযোগিতা হয়।
এ ছাড়াও স্কুল পড়ুয়ারা তাদের তৈরি নানা মডেল প্রদর্শন করে ওই কর্মশালায়। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, জীব বৈচিত্র, থার্মোকল, প্লাস্টিক কমিয়ে বাঁশের ব্যবহার ছাড়াও বেত, তালপাতার মতো নানা সামগ্রী ব্যবহারে কী ভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব সেই বিষয়ে মডেল ছিল। মডেলগুলির ভিত্তি ছিল পরিবেশ দূষণ রোধে পড়ুয়াদের মৌলিক ভাবনা। প্রদর্শনীতে প্রথম নির্বাচিত হয়েছে আদ্রার বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়াদের তৈরি
প্লাস্টিক দূষণ রোধে বিকল্প সামগ্রীর ব্যবহারের মডেলটি।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানাচ্ছে, স্কুল জীবন থেকেই যাতে পড়ুয়ারা দূষণের মতো গুরুতর সমস্যা নিয়ে সচেতন হতে পারে তা নিশ্চিত করতেই প্রকৃতির কোলে এই কর্মশালা করা হল। পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, “পর্ষদের ‘মিশন লাইফ’ প্রকল্পের লক্ষ্যই হল পরিবেশ সচেতনতা। পরিবেশের অবক্ষয় ঘটছে, ভূ বৈচিত্রে আসা আঘাতগুলি প্রতিহত করতে কী কী করণীয় তা-ই শেখানো চেষ্টা করা হল।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)