লালনকে হেফাজতে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রেশমা। —নিজস্ব চিত্র।
সিবিআই নয়। বগটুইকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় তদন্ত করবে রাজ্যই। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে সিআইডির হাত থেকে তদন্তভার গিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের হাতে। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের এমন নির্দেশের পরই কয়েক জন সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ করলেন মৃত লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। কাঁদতে কাঁদতে রেশমার দাবি, ‘‘ওই সিবিআই আধিকারিকদের বড় সাজা হোক।’’
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের বগটুইকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মারা যান। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচাগার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই দাবি করে লালন আত্মহত্যা করেছেন। অন্য দিকে, লালনের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তবে সোমবার সংশ্লিষ্ট মৃত্যু মামলায় রাজ্যকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাতে দৃশ্যতই ‘খুশি’ লালনের স্ত্রী। তিনি নিজে বলেনও, ‘‘আমি আদালতের নির্দেশ খুশি। আমরা শুধু চাই ওই সিবিআই আধিকারিকদের শাস্তি হোক। দোষীদের শাস্তি পেতে হবে। আবারও তিনি তদন্তের নামে সিবিআইয়ের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘টাকা খাওয়ার’ অভিযোগ করেন। পাশাপাশি সিবিআই আধিকারিকদের রক্ষাকবচ নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘‘যাদের হাতে মারা গেল, তাদের শাস্তি হোক। আমাকেও তো সিবিআই নিয়ে যাবে বলে খবর দেখেছি সংবাদপত্রে।’’
এর আগেও লালনকে হেফাজতে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রেশমা। তাঁর দাবি, সিবিআই আধিকারিকরা লালনের পাশাপাশি তাঁকেও মারধর করেছিলেন। তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মামলা ‘সেটল’ করে দেওয়ার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। এ নিয়ে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রেশমা। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘কত বার ওদের পায়ে-হাতে ধরেছিলাম। কিন্তু আমার স্বামীকে ছাড়েনি সিবিআই। ওর কাছে কিচ্ছু ছিল না। সিবিআইয়ের জন্য মৃত্যু হল আমার স্বামীর। সিবিআইয়ের ওই আধিকারিকদের শাস্তি হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy