Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

শিশু কার? স্বামীর সন্দেহে নাজেহাল, একরত্তিকে নদীতে ছুড়ে ফেললেন মা!

শিশুর পিতৃত্ব নিয়ে স্বামীর সন্দেহে নাজেহাল হয়েই এক বছরের শিশুকে মা নদীতে ফেলে দিয়ে মারে বলে দাবি করল পুলিশ। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিমলাপাল শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৮ ০০:৪৫
Share: Save:

শিশুর পিতৃত্ব নিয়ে স্বামীর সন্দেহে নাজেহাল হয়েই এক বছরের শিশুকে মা নদীতে ফেলে দিয়ে মারে বলে দাবি করল পুলিশ।

সিমলাপালের ব্রিজগোড়া এলাকায় গত শনিবার নদীতে শিশুর মৃত দেহ ভেসে ওঠার ঘটনার তদন্ত নেমে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, “জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করে নেন নিহত শিশুর মা তাপসী চট্টোপাধ্যায়। তিনি তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, শিশুটির বাবা কে, তা নিয়ে প্রায়ই তাঁর সন্দেহ করতেন। তা নিয়ে অশান্তিও লেগেছিল। সেই রাগেই ঘুমন্ত শিশুকে বালতিতে ভরে তাপসী নদীতে ফেলে দেন।’’

পুলিশ সুপার জানান, এ দিন তাপসীকে নিজের সন্তান খুনে এবং তাঁর স্বামী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে খুনের প্ররোচনা দেওয়ার অভিয়োগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার, ওই দম্পতিকে খাতড়া আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত শনিবার সকালে সিমলাপালের শিলাবতী নদীতে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে আসে মৃত শিশুর দেহ। শিশুটির নাম প্রিয়া চট্টোপাধ্যায়। কী ভাবে শিশুটি নদীতে পৌঁছল তা নিয়ে সিমলাপাল থানাগড়া এলাকার বাসিন্দা প্রিয়ার বাবা ও মা সে দিন প্রশ্ন তুলেছিলেন।

আগের রাতে তাপসী তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে একটি ঘরে শুয়েছিলেন। সঞ্জীব তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গে অন্য একটি ঘরে ছিলেন। তাপসী দাবি করেছিলেন, ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে তিনি বাড়ি পরিষ্কার করতে যান। বাড়ির আবর্জনা শিলাবতী নদীতে ফেলে এসে দেখেন, ঘরের দরজার একটি পাল্লা খোলা। ভিতরে ঢুকে দেখেন, ছোট মেয়ে প্রিয়া নেই।

সঞ্জীব দাবি করেছিলেন, মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে বলে তাঁর স্ত্রীই তাঁকে ঘুম থেকে তুলেছিলেন। তাঁরা নিখোঁজ ডায়রি করতে থানায় গিয়ে জানতে পারেন, প্রিয়ার দেহ মিলেছে শিলাবতীতে।

প্রথমে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি গোটা ঘটনাটি নিয়ে সিমলাপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিকে ময়না-তদন্তে জানা যায়, প্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবেই। বৃহস্পতিবার সঞ্জীব ও তাপসীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সেখানেই তাপসী ভেঙে পড়েন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fatherhood Murder Shilabati River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE