বাড়ির অদূরে সোকপিট খুঁড়ে উদ্ধার হয় জয়পুর থানার রাঙ্গনিটাঁড় গ্রামের বাসিন্দা জুড়ন মাহাতোর (৪৫) বস্তাবন্দি দেহ। প্রতীকী চিত্র।
সোকপিট (সেফটি ট্যাঙ্ক) থেকে প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের পর স্ত্রীর দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলেছিল গোটা পরিবার। স্বামী নিখোঁজ থাকার সময়েও স্ত্রীর বাড়িতে মাংস রান্না করে পরিজনদের খাওয়ানোর ঘটনা মনে পড়ায় পরিজনদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। পুরুলিয়ার খুনের ঘটনায় ওই অভিযুক্ত স্ত্রী উত্তরা মাহাতোকে গ্রেফতার করা হল। সোমবার তাঁকে পুরুলিয়া আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।
পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর শনিবার বাড়ির অদূরে সোকপিট খুঁড়ে উদ্ধার হয় জয়পুর থানার রাঙ্গনিটাঁড় গ্রামের বাসিন্দা জুড়ন মাহাতোর (৪৫) বস্তাবন্দি দেহ। প্রাথমিক ভাবে পরিবারের দাবি ছিল, উত্তরাই জুড়নকে খুন করে থাকতে পারেন। স্ত্রীর কাউকে ফোন করা নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হত বলেও জানান পড়শিরা। নিহতের ছেলে অপূর্ব মাহাতোর দাবি, ‘‘মাকে সোকপিটের কাছে সিমেন্ট দিয়ে কিছু করতে দেখে গ্রামের এক মহিলার সন্দেহ হয়। তিনি আমার স্ত্রীকে ঘটনাটি জানান। কী ভাবে বাবা মারা গেল, বুঝতে পারছি না।’’ উত্তরার ভাই চন্দন মাহাতোও জানান, দিদিকে সিমেন্ট দিয়ে সোকপিটে কিছু করতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তিনিই পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন।
মৃতের পরিজন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর মাংসভাত রান্না করে বাড়ির সকলে খাইয়েছিলেন উত্তরা। তাতেই পরিবারের সন্দেহ আরও জোরাল হয়। পুত্রবধূ রিনা মাহাতো বলেন, ‘‘এর মধ্যে বাড়িতে মুরগির মাংস রান্না করে সকলকে খাওয়ান শাশুড়ি। ভীষণই অদ্ভুত লাগে সেটা!’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারই জুড়নের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। বাবার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছেলে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার উত্তরাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy