জখম রোশনা বিবি। শুক্রবার সকালে রামপুরহাট সদর হাসপাতালে তোলা নিজস্ব চিত্র।
পারিবারিক বিবাদের জেরে এক বধূকে বঁটি দিয়ে মাথা ও কানে আঘাত করার অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারাপীঠ থানার রামভদ্রপুরের ঘটনা। আক্রান্ত বধূ গুরুতর জখম হয়ে বর্তমানে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় শ্বশুরের বিরুদ্ধেও মারধরের নালিশ করেছেন ওই বধূ। শুক্রবার দু’জনের বিরুদ্ধেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর স্বামী। এসডিপিও (রামপুরহাট) কমল বৈরাগ্য বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে ময়ূরেশ্বরের কোটগ্রামের মেয়ে রোশনা বিয়ে করেন রামভদ্রপুরের বাসিন্দা, পেশায় চাষি মজিবুর ইসলামকে। স্বামী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে আলাদা সংসার করছেন। শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর অন্য তিন ভাই আলাদা থাকেন। এ দিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে রোশনা বিবি অভিযোগ করেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর ও অন্য ভাইয়েরা বাপের বাড়ি থেকে কিছু জমি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিত। এমনকী, আমার নামে নানা বদনামও দিয়েছে।” তাঁর দাবি, গত বুধবার তিনি মেয়েকে বকাঝকা করছিলেন। তখন স্বামীর অবর্তমানে শ্বশুর তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তাতে তিনি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট পান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাকে মারধর করায় শ্বশুরকে গালিগালাজ করেছিলাম। তারই বদলা নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে ঢুকে দেওর ঘরে থাকা খড় কাটার বঁটিটা দিয়ে আমার উপরে চড়াও হয়।” তাতেই তিনি গুরুতর চোট পান। গ্রামে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পরে এ দিন সকালে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বধূর মাথার পিছনে ও কানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। তা জুড়ে দেওয়ার জন্য সেলাই করা হয়েছে।
এ দিকে, ঘটনার পর থেকেই ওই বধূর শ্বশুর নুর ইসলাম এবং দেওর সজিবুর ইসলাম পালিয়ে যান। তাঁদের সঙ্গে এ দিন কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। আক্রান্ত বধূর বাবা জাবের শেখের দাবি, ‘‘বিয়ের পর থেকে বেয়াইমশাই আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন। মেয়ে কষ্ট করে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। আমি মেয়েকে জায়গা কিনে দেওয়ার পর ও বাড়ি তৈরি করে আলাদা থাকত।’’ তার পরেও মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নানা বদনাম দিয়ে অত্যাচার চালাত বলে তাঁর অভিযোগ। অভিযুক্ত দু’জনকেই দ্রুত গ্রেফতার করারল দাবি করেছেন বধূর বাবা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy