নিহত দিলীপ দে। বিষ্ণুপুর মর্গের সামনে।—নিজস্ব চিত্র।
হিমঘরে আলু রেখে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে খুন হলেন এক আলু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা। বুধবার সকালে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার আশুরালি গ্রামের কাছে হরিণচক মাঠ থেকে দিলীপ দে (৪০) নামে ওই আলু ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন গ্রামবাসীরা। নিহতের মাথা-সহ শরীরের কিছু অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, আশুরালি গ্রামেরই বাসিন্দা দিলীপবাবু আলুর বন্ড কেনাবেচা করতেন। বাড়িতে মা-বাবা ছাড়াও থাকেন স্ত্রী, সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ছেলে। এ দিন সকালে ঘটনার কথা জানতে পেরে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবারটি। নিহতের বাবা মোহন দে বলেন, “হিমঘর থেকে থেকে ফিরতে ছেলের প্রায়ই অনেক রাত হয়ে যায়। কিন্তু, মঙ্গলবার রাত দুটো বেজে গেলেও ছেলে না ফেরায় বউমাকে নিয়ে খুঁজতে বেরোই। ছেলের হদিস পাইনি। সকাল ৬টা নাগাদ হরিণচক মাঠে প্রতিবেশীরা দিলীপের সাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ওই মাঠেই ওর দেহ দেখতে পাই।” তাঁর দাবি, ছেলেকে কারা নৃশংস ভাবে খুন করল, পুলিশ তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির বাঁকুড়া জেলা শাখার সম্পাদক বিভাস দে বলেন, “দিলীপবাবু আমাদের সংগঠনের চাতরা ইউনিটের সদস্য ছিলেন। তাঁকে কেন এ ভাবে খুন করা হল পুলিশ খুঁজে বের করুক।” এই ঘটনায় আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলেও তাঁর দাবি।
তবে, কেন খুন হলেন দিলীপবাবু, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মোহনবাবু জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর কথায়, “দিলীপ রাজনীতি করত না। কাজেই এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। আবার ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও ঝামেলার কথাও কখনও ওর কাছ থেকে শুনিনি। তবু কেন ছেলেকে এ ভাবে খুন হতে হল, বুঝতে পারছি না।” এসডিপিও (বিষ্ণুপুর)পরাগ ঘোষ বলেন, “ওই ব্যবসায়ীর মাথায়, ঘাড়ে ধারালো কিছু দিয়ে কোপ মারা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy